শুরুতেই বলে রাখি The Indian Chronicles কোন কুসংস্কার কে সমর্থন করেনা। এই আর্টিকেল সম্পর্ন বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে তদন্তের বর্ণনা মাত্র। আমরা ভূত-প্রেত এ বিশ্বাসী নই। তবে বিজ্ঞানের পরিভাষায় “এনার্জি” তে বিশ্বাসী।
ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্তের পরিচিতি :

পেশায় চিকিৎসক ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্ত কয়েক দশক ধরে এনার্জি বা স্পিরিট নিয়ে রিসার্চ করেচলেছেন। বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে ও বিজ্ঞান সম্মত নানাবিধ উপকরণ ও বিভিন্ন উত্তাপ পরিমাপক যন্ত্রাংশ দিয়ে এনার্জি বা স্পিরিট এর উপস্থিতি নির্ধারণ করে থাকেন। ইতিমধ্যেই ডাঃ গুপ্ত কলকাতা পুলিশ, বলিউড ও একাধিক প্যারানরমাল তদন্ত করছেন যা google এ সার্চ করে আপনারা জানতে পরেন।
ঘটনার বিবরণ
ব্যারাকপুর অঞ্চলের ঘটনা। ১৯শে এপ্রিল বিয়ে করে বেশ জণবশতি পূর্ন এলাকায় একটি বাড়ী ভাড়া নিয়ে সংসার শুরু করেন নব দম্পতি। বাড়ীর ১তলা টি বেশ বড় হওয়া সত্বেও, বিধবা বৃদ্ধা বাড়িওয়ালি অনেক কম টাকায়, নব দম্পতি কে বাড়ীর একতলা টি ভাড়ায় থাকতে দেন। প্রথম দুদিন সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও, তৃতীয় দিন থেকেই ঘটতে থাকে কিছু অদ্ভুত ঘটনা।

সারাটা দিন স্বাভাবিক কাটলেও রাত ৮/৯ টার পর থেকেই নব বধূ অনুভব করেন, ঘরে কেউ নাথাকা সত্বেও কেউ যেন প্রতি মুহূর্তে নববধূর দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টি তে। রান্নাঘরে গেলেই পিছন থেকে ঘাড়ে নিশ্বাস পড়ার অনুভূতি, যেন ঠিক পিছনেই কেউ দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু পিছনে তাকালে কেউই নেই। আবার হঠাৎ করেই টুথব্রাশ কেউ ছুঁড়ে মাটিতে ফেলে দিচ্ছে। অথচ ঘরে কেউ নেই।

এখানেই শেষ নয়। রাত বাড়ার সাথে সাথে ওপরে যাবার সিঁড়ি দিয়ে কারোর ওঠা নামার পায়ের শব্দ পাওয়া যায়। আবার বিছানায় দম্পতি শুলেই ঘরের দরজায় টোকা পরে, যেন কেউ দরজা খুলতে বলছে। অথচ দরজা খুলে কাউকেই দেখতে পাওয়া যায়না।

বাড়ীর বৃদ্ধা বাড়িওয়ালীর গতিবিধিও বেশ সন্দেহ জনক। তিনি কিছুতেই রাতের বেলায় নিচে নামতে চান না। এমনকি ফোন ধরতেও চান না।
এর পরেই নব দম্পতি যোগাযোগ করেন বিশিষ্ট প্যারানরমাল রিসার্চর ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্তের ( Dr-ujjal Gupta ) ( শ্রেষ্ঠ বাঙালি ২০২৩ সম্মানিত ) সাথে। ডাঃ উজ্জ্বল গুপ্ত গতকাল উল্লেখিত বাড়িতে যান, এবং বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি তে সেখানে তদন্ত করে বুঝতে পরেন সেখানে রয়েছে অশরীর উপস্থিতি। যার ভিডিও রেকর্ডিং হয়েছে।
তদন্তের ভিডিও
ভূত বা প্রেতাত্মা আছে না নেই এই তর্ক বহুদিনের এবং এখনও অনেকেরই কাছে অমীমাংসিত। তবে আজ বিজ্ঞান ও বিশ্বাস করে পজিটিভ ও নেগেটিভ এনার্জি আছে। ভূত প্রেত তো আমাদেরই দেওয়া কল্পিত নাম। বাংলা তথা ভারত বর্ষের বহু জায়গায় এরকমই বহু লৌকিক অলৌকিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করার স্থান রয়েছে। রাজস্থান এর ভানগড়, উত্তর বঙ্গের দাওহিল, যেখানে প্রশাসনিক নির্দেশ দেওয়া আছে সূর্য ডোবার পর ঐ স্থানে না থাকার জন্যে।