Home » Presented by Sankha Sil ( শঙ্খ শীল ) Released from Bro Bon Production | Swapner Deshe YouTube channel. ( ব্রো বোন প্রোডাকশন | স্বপ্নের দেশে )

Presented by Sankha Sil ( শঙ্খ শীল ) Released from Bro Bon Production | Swapner Deshe YouTube channel. ( ব্রো বোন প্রোডাকশন | স্বপ্নের দেশে )

এই গল্পটা বহুদর্শীর; যদিও এটা ঠিক গল্প কিনা জানা নেই – ঘটনা বলা যেতে পারে। বহুদর্শী ৩০ বছর বয়সী সুদর্শন এবং বুদ্ধিদীপ্ত এক সুপুরুষ। বহুদর্শী অন্ধ, অনেক বছর আগে একটা অ্যাকসিডেন্টে চোখ হারিয়েছে। বহুদর্শী এমন একটি খেলা খেলতে ভালোবাসে যেখানে সে তার অন্ধত্ব লুকিয়ে রাখে। বহুদর্শী যখনই সুযোগ পায় তখনই চেষ্টা করে কোনও একজন অপরিচিত মানুষের সাথে দিনের বেশ কিছুটা সময় কাটানোর, তার সাথে কথা বলার এবং একই সাথে নিজের অন্ধত্ব লুকিয়ে রাখার । এভাবেই একদিন কলকাতার ময়দানে বহুদর্শীর দেখা হয় সুরঞ্জনার সাথে।

সুরঞ্জনা মূলত প্রবাসী বাঙালি; সুরঞ্জনা সুন্দরী – নম্র – সুশ্রী এক মহিলা, ওকে দেখে ওর সাথে কথা বলে ওকে পছন্দ হবে না এমনটা বোধহয় হতে পারে না। তারমধ্যে সুরঞ্জনা, বহুদর্শীর মতোই আবেগপ্রবণ। ওরা দুজনে কলকাতার প্রতি একে অপরের সাধারণ ভালবাসা খুঁজে পেতে খুব বেশি সময় নেয় না। ওদের কথোপকথন এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ভালবাসার শহর কলকাতা। তারা দুজনেই একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে একে অপরের জন্য এক অসম্ভব আবেগ অনুভব করেছিল ; এটাকে ঠিক প্রেম হিসাবে চিত্রিত করা যায়না তবে এমন এক অনুভূতি যা প্রকাশ করা সম্ভব নয় – শুধুই অনুভব করতে হয়। যখন সেই অনুভূতি সম্পূর্ন ভাবে গ্রাস করে ফেলেছে বহুদর্শী এবং সুরঞ্জনাকে ঠিক তখনই যাওয়ায় সময় হয়ে যায় সুরঞ্জনার।

কলকাতার ময়দানে পড়ন্ত বিকেলের রোদ গায়ে মেখে বহুদর্শী যখন কল্পনা করছে সুরঞ্জনার ছবি, ঠিক তখনই সে জানতে পারছে যে সুরঞ্জনারও দৃষ্টিশক্তি নেই, তখন বহুদর্শীর হৃদয় বিষণ্ণতার প্রতিধ্বনিতে কাতর হয়ে ওঠে এক লহমায়।

সেদিন সে নিজের খেলায় নিজেই পরাজিত ; সেদিন তার আরও বেশি করে মনে হয় সে বড়ো একা – শরতের শেষ কাশফুলের মতো সে বড়ো একা। সুরঞ্জনাও বোধহয় তাই — কে জানে!

লুকোচুরি রাস্কিন বন্ডের “দ্য আইস হ্যাভ ইট” এর একটি রূপান্তর।

Cast
Aishi Bhattacharya ( ঐশী ভট্টাচার্য্য ) ( Suranjana ), Sabuj ( সবুজ বর্ধন ) Barddhan ( Bahudarshi )

Crew
Screenplay – Dialogue –

Direction:- Rajat Roy & Arunava Mukherjee ( রজত রায় & অরুণাভ মুখার্জী)

DOP:- Wrishav Maji ( ঋষভ মাজী )

Edit & Color:- Swarnavo Sadhukha ( স্বর্ণাভ সাধুখাঁ)

Sound & Original BGM:- Sauparna Manna ( সৌপর্ন মান্না)

Graphics:- Sagnik Kundu ( সাগ্নিক কুন্ডু )

Media Outreach- রানা বসু ঠাকুর

 

সবুজ বর্ধন : “রজতের সাথে কাজের সম্পর্ক এটা প্রথম নয়। আমি যখন ছোট দৈর্ঘ্যের ছবি পরিচালনা করা শুরু করি তখন প্রথমদিকে রজত খুবই অ্যাক্টিভ ভাবে যুক্ত ছিল আমার সাথে।তারপর রজত Bro Bon team form করে।এবং সেখানে এই ক’বছরে প্রচুর ভালো কাজ করেছে ওরা।সেগুলো এতদিন দর্শক হিসাবে দেখে এসেছি। লুকোচুরি-র মাধ্যমে সরাসরি ওদের সাথে এই প্রথম কাজ করা।খুবই সিরিয়াস একটা টিম।গল্পটা শুনেই মূলত কাজটা করবার ইচ্ছে জন্মায়।তারপর কাজ করতে গিয়ে দেখলাম ওরা প্রচন্ড সিরিয়াস।তাই আমি আশাবাদী সামনে ওরা দারুণ কাজ করবে এবং আরো বড় পরিসরে ধরা দেবে ওদের ক্রিয়েটিভিটি।ঐশীর সাথেও প্রথম কাজ।বলাই বাহুল্য ও একজন দারুণ অভিনেত্রী। তার প্রমাণও লুকোচুরি করতে গিয়ে প্রত্যক্ষ করলাম।এককথায় ছোট্ট পরিসরের কাজে জমজমাট একটা অভিজ্ঞতা।”

 

রজত রায়:- এই কাজটার ভাবনা অনেকদিন থেকে মানে যবে থেকে সেই ছোটবেলায় the eyes have it পড়েছিলাম ঠিক তখন থেকেই। প্রেমের উপর কিছু লিখতে এবং প্রেম নিয়ে কাজ করতে আমার এবং অরুনাভর – দুজনেরই বরাবর ভালো লাগে। এই গল্পটা ঠিক প্রেমও নয় মানে, হঠাৎ দেখা হওয়া, ভালোলাগা কিছুক্ষণের জন্যে ভালো থাকা আবার এটা একাকীত্ব! বাঙালীদের কাছে বেশ জমজমাট একটা ব্যাপার! আর গল্পটাকে কলকাতার গল্প করে তুলতে কোন অসুবিধেই হয়নি, সেটা গল্পটার এবং কলকাতার ব্রিলিয়ান্স ! আর ঋষভ যেমন ভালো ক্যামেরার কাজ করেছে, তেমন ভালো কালার করেছে স্বর্ণাভ, সেরকমই মিউজিক করেছে মান্নাদা। প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল কাজটা যেন দেখতে খুব ভালো লাগে, মানে কাজটা যতক্ষণ মানুষ দেখবে ততক্ষণ চোখে – কানে একটা আরাম লাগবে আর শেষ হয়ে গেলে একটা মন খারাপ। ঐশী এবং সবুজ দা দুজনেই ফাটিয়ে অভিনয় করেছে আশা করছি দর্শকদের বেশ ভালো লাগবে তাই আপনারা কাজটা দেখুন ভালো লাগার কথা বা খারাপ লাগার কথা জানান আর কাজটাকে ছড়িয়ে দিন!

অরুণাভ মুখার্জি:- Ruskin Bond এর এই গল্পটার মধ্যে প্রচুর visuals রয়েছে যেগুলো ছোটবেলায় পড়ার সময় মনে হয়েছিল। ক্যামেরা নিয়ে গল্প বলা শুরু করার পর থেকে বারবার মনে হয়েছে এই গল্পটা আমি বানাতে পারলে কিভাবে বানাতাম। সেখান থেকেই এই লুকোচুরি বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপর শঙ্খ দা মানে এই ছবির প্রযোজক শঙ্খ শীল যখন আমাদের সাথে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করে তখন আমাদের সবার Ruskin Bond এর প্রতি common love থাকায় লুকোচুরি ফ্রেমবন্দি হবার কাজ শুরু হয়। আমরা একেবারেই Independent ভাবে ছবিটা বানিয়েছি। আপনারা সবাই আমাদের কাজ দেখে জানান কেমন লাগলো!

ঐশী ভট্টাচার্য্য:- Short film – এ অভিনয় করতে আমার এমনিই খুব ভালো লাগে, ভালো short – এর script -এর জন্য আমি অপেক্ষা করি। লুকোচুরি তে অভিনয় করে অভিনেত্রী হিসেবে অনেকখানি আরাম পেয়েছি। একটি ছোটো team নিয়ে আমরা shooting করেছি। সবাই নিজের নিজের কাজ মন দিয়ে করেছে বলেই একটি সুন্দর outcome এসেছে। আর সেটাই তো সব থেকে বড়ো কথা। লুকোচুরি এই গরমে ঠান্ডা হাওয়ার আমেজ এনে দেওয়ার মতো একটি কাজ। আশা করি ভালো লাগবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!