ফের নারীর নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন! পুণের এক অভিজাত আবাসনে ভয়াবহ ধর্ষণকাণ্ড। ২২ বছর বয়সি এক তরুণীর ফ্ল্যাটে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ডেলিভারি এজেন্টের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তরুণীকে অচেতন করে শারীরিক নির্যাতন চালানোর পর, সেই অভিযুক্ত তাঁর মোবাইল ফোনেই তোলে এক সেলফি— এবং লেখে বিভীষিকাময় বার্তা: “আমি আবার আসব”।
এই ঘটনার জেরে পুণের গেটেড সোসাইটিগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই উঠেছে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন।
কীভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা?
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধে ৭.৩০ নাগাদ একটি ব্যাঙ্কের কুরিয়ার ডেলিভারির ছুতোয় অভিযুক্ত ওই তরুণীর ফ্ল্যাটে আসে। তরুণী যখন OTP যাচাইয়ের জন্য ভিতরে যান, সেই সময়ই অভিযুক্ত তাঁর পিছু পিছু ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপরই ঘটায় লোমহর্ষক ঘটনা।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত তরুণীকে অচেতন করতে কোনও রাসায়নিক স্প্রে করে থাকতে পারে। কারণ তরুণীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
‘আমি আবার আসব’— ভয় ধরানো বার্তা নির্যাতিতার ফোনে
ধর্ষণের পর তরুণীর ফোনে নিজের সেলফি তোলে অভিযুক্ত। এরপর মোবাইলেই লিখে যায়, “I will come again”— এই বার্তাই তদন্তকে আরও ভীতিকর দিকের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
তদন্তে নেমে ১০টি দল গঠন পুলিশের
পুণে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রাজকুমার শিন্ডে জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে IPC-র ধর্ষণ, নারী নিগ্রহ এবং হুমকির ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তে নামানো হয়েছে ১০টি বিশেষ টিম— যার মধ্যে ৫টি ক্রাইম ব্রাঞ্চের এবং ৫টি জোনাল ইউনিটের।
ফরেনসিক দল তরুণীর শরীর ও ফোন পরীক্ষা করে দেখছে রাসায়নিক ব্যবহার হয়েছে কিনা এবং মোবাইল থেকে অভিযুক্তের হদিস মেলার সম্ভাবনা।
কীভাবে এল বহিরাগত? প্রশ্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর
এই ঘটনা সামনে আসার পর পুণের বিলাসবহুল আবাসনগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন, যেখানে বাইরের কেউ সাধারণত ঢুকতেই পারেন না, সেখানে কীভাবে এক বহিরাগত নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে তরুণীর ফ্ল্যাট পর্যন্ত পৌঁছে গেল?
অভিযুক্ত এখনও পলাতক
তল্লাশি চলছে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সাহায্যে। পুলিশ জানিয়েছে, শহরজুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দ্রুত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস পুলিশের।
তরুণীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অত্যন্ত স্পর্শকাতর
বর্তমানে নির্যাতিতা তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তাঁকে আইনি ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।