দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে আর

Days
Hours
Minutes
Seconds

দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে আর

Days
Hours
Minutes
Seconds
Advertise your brand here -Contact 7603043747 (Call & Whatsapp)
Advertise your brand here -Contact 7603043747 (Call & Whatsapp)

প্রথার ছলে নারকীয়তা: রাজস্থানের ভদেড় সম্প্রদায়ের ‘কাস্টমার ওয়াইফ’ প্রথার কালো অধ্যায়

রাজস্থানের ভদেড় ও নাট সম্প্রদায়ের মধ্যে আজও প্রচলিত রয়েছে ‘কাস্টমার ওয়াইফ’ নামক ভয়ঙ্কর প্রথা, যেখানে কৈশোরেই মেয়েদের ঠেলে দেওয়া হয় যৌন বাণিজ্যের পথে। এই রিপোর্ট তুলে ধরে সেই লুকোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের নির্মম চিত্র।

Table of Contents

Share Our Blog :

Facebook
WhatsApp
প্রথার ছলে নারকীয়তা: রাজস্থানের ভদেড় সম্প্রদায়ের ‘কাস্টমার ওয়াইফ’ প্রথার কালো অধ্যায়

The Indian Chronicles অনুসন্ধান প্রতিবেদন বিভাগ

রাজস্থানের লোকসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বর্ণময় আবরণে চাপা পড়ে আছে এক ভয়ঙ্কর বাস্তবতা। ভদেড় (Bedia) ও নাট (Nat) সম্প্রদায়ের মধ্যেই আজও টিকে রয়েছে এমন এক প্রথা, যা আসলে পাপ—নারী নিপীড়নের নির্মম এক সংস্কার: ‘কাস্টমার ওয়াইফ’ সিস্টেম

রাজস্থানের ঐতিহ্য আর বর্ণময় সংস্কৃতির আড়ালে আজও লুকিয়ে আছে এমন কিছু অন্ধকার অধ্যায়, যা সভ্যতার মুখে চরম চপেটাঘাত। এই রাজ্যের কিছু পশ্চাদপদ যাযাবর সম্প্রদায়, বিশেষ করে ভদেড় (Bedia) ও নাট (Nat) জনজাতির মধ্যে এমন কিছু রীতি আজও প্রচলিত রয়েছে, যা আদতে নারী নিপীড়নের এক নিষ্ঠুর প্রথার নামান্তর।

🔴 প্রথা না পাপ?

এই সম্প্রদায়গুলোর একটি ভয়ঙ্কর প্রচলন হলো — “কাস্টমার ওয়াইফ” সিস্টেম। এখানে বহু পরিবারে মেয়েশিশু জন্ম নেওয়ার পর থেকেই এক ধরনের অদৃশ্য নিয়তি লেখা হয়। কৈশোরেই তাকে “গ্রাহকের স্ত্রী” অর্থাৎ যৌন বাণিজ্যের পণ্যে পরিণত করা হয়।

অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষ কর্তারাই এই প্রক্রিয়ায় প্রথম বাধ্য করেন নিজেদের সন্তানকে। এই নির্মম বাস্তবতা আমাদের চমকে দেয় — যেখানে বাবা বা কাকাই হয়ে ওঠেন প্রথম ‘গ্রাহক’।

এই প্রথা একদিকে যেমন নারীকে তার আত্মসম্মান ও শারীরিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করে, তেমনই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও চক্রাকারে ঠেলে দেয় এক অনন্ত অন্ধকারে।

📉 প্রশাসন কোথায়?

বহুবার এই প্রথা উঠে এসেছে সংবাদপত্র ও মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব, সমাজের ভয়, এবং অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক প্রকার মুচলেকাভিত্তিক নীরবতা প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধা দেয়।

🧕 কিছু আশার কথা:

সম্প্রতি কিছু সমাজসেবী সংগঠন ও স্থানীয় মহিলা এনজিও এগিয়ে এসেছে এই প্রথা বন্ধে। স্কুলে পাঠানো হচ্ছে মেয়েদের, বিকল্প জীবিকা গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। তবে সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে।

❗ মানবাধিকারের প্রশ্ন:

ভারতবর্ষে যেখানে মহাকাব্যে নারীকে দেবীর আসনে বসানো হয়েছে, সেই দেশেরই এক প্রান্তে এমন প্রথার নামে ধর্ষণ ও যৌন ব্যবসার স্বীকৃতি সভ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এখানে শুধু আইন নয়, দরকার সমাজের সম্মিলিত প্রতিরোধ।

এই প্রতিবেদন কোনও সম্প্রদায়কে অপমান করতে নয়, বরং সেই সব মেয়ের পক্ষে কথা বলতে—যারা সমাজের অন্ধকারে আজও অবমাননার জীবন কাটায়। আমাদের চুপ করে থাকা মানে এই অন্যায়ের সহায়তা করা। এখনই সময় মুখ তুলে দাঁড়াবার।

** সংগৃহীত তথ্যের সূত্র:

The Wire, 2018 – “Inside the Silent Hell of Bedia Women”

The Hindu, 2021 – “Tradition, Trafficking, and Tragedy”

Human Rights Watch & Childline India Reports

Interviews with field activists in Bharatpur & Dholpur, Rajasthan

More Related Articles

পথপরিচয়ক জয় হে
সম্পাদকীয়
পথপরিচয়ক জয় হে

বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উপর একের পর এক আঘাতের প্রতিবাদে রাজপথে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনতার ঢল, স্লোগানে মুখর রাজপথ, আর ভাষার লড়াইকে ঘিরে এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদ।

Read More »
error: Content is protected !!