তারক হরি, বিশেষ প্রতিবেদন
কলকাতা থেকে রাজধানী — নামেই যার গরিমা, সেই শিয়ালদহ-নয়া দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস পা রাখল ২৫ বছরে। এক চতুর্থাংশ শতাব্দী ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে যাত্রীসেবায় অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া এই ট্রেনটির রজত জয়ন্তী উপলক্ষে সোমবার শিয়ালদহ স্টেশনে অনুষ্ঠিত হল এক ঐতিহাসিক এবং বর্ণময় অনুষ্ঠান।
২০০০ সালে যাত্রা শুরু করা এই এক্সপ্রেস এখন আর শুধুই এক যাতায়াতের বাহন নয় — হয়ে উঠেছে লাখো যাত্রীর আস্থার প্রতীক, সময়ের সাক্ষী। আর সেই সফরের ২৫ বছর পূর্তিতে রেলের তরফে নেওয়া হল বিশেষ উদ্যোগ।

বিশেষ আয়োজন, স্মরণীয় মুহূর্ত:
শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ছিল উৎসবের আমেজ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের রেলওয়ে ম্যানেজার রাজীব সাক্সেনা নিজে উপস্থিত থেকে সুসজ্জিত রাজধানী এক্সপ্রেসকে পতাকা নেড়ে যাত্রা সূচনা করেন। ইঞ্জিন থেকে কোচ — সবই নতুন সাজে রাঙানো হয়েছে। শুধু ভেতরের সৌন্দর্যই নয়, যাত্রীসেবায়ও ছিল আজ বাড়তি যত্ন।
খাবারে চমক:
যাত্রীদের জন্য প্রস্তুত ছিল বিশেষ রাতের খাবার, যার মেনুতে ছিল জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত কলকাতার বিখ্যাত রসগোল্লা। শুধু খাবারেই থেমে থাকেনি আয়োজন — প্রত্যেক যাত্রীকে গোলাপের কুঁড়ি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

ইতিহাসের পাতায় জায়গা:
রাজধানী এক্সপ্রেসের প্রথম এসি কোচ H১ নির্মিত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে — একপ্রকার ঐতিহাসিক কীর্তি বললেও কম বলা হয়। বহু স্মৃতি, বহু ভ্রমণগাথা জড়িয়ে রয়েছে এই ট্রেনকে ঘিরে।
এই প্রসঙ্গে,শিয়ালদহ ডিভিশনের এক আধিকারিক জানান — “এই ট্রেন বহু যাত্রীর প্রথম পছন্দ। অন্যান্য এক্সপ্রেসের তুলনায় রাজধানীর সময়নিষ্ঠতা, পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য একে আলাদা করে তোলে।”
কলকাতা ও দিল্লির মধ্যে সংযোগকারী বহু ট্রেন থাকলেও, রাজধানী এক্সপ্রেসের রাজকীয়তা ও আভিজাত্য অনন্য। এই ট্রেন শুধু স্টেশন থেকে স্টেশন পৌঁছে দেয় না — পৌঁছে দেয় হৃদয়ের কাছাকাছি।
রজত জয়ন্তীতে শুধু ট্রেন নয়, যেন গোটা বাংলার গর্বই এগিয়ে চলল রেলের লাইনে ভর করে।