হ্যাঁ একেবারেই ঠিক পড়েছেন। একটু অবাক করা এবং আনন্দের খবর একই সাথে আজ আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।
দ্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলস শুধুমাত্র ইতিবাচক খবর সম্প্রচার করেনা, একই সাথে চেষ্টা করে বিভিন্ন প্রতিভা কে জনগণের সামনে তুলে ধরার। সেখানে রয়েছে এক ঝাঁক অর্টিজম সম্পন্ন শিশু ও কিশোর কিশোরী।

শিবানী জন্মলগ্ন থেকেই দৃষ্টিহীন ও একই সাথে অর্টিজম সম্পন্ন। কিন্তু শিবানীর কণ্ঠে স্বয়ং মা সরস্বতী বিরাজ করছেন। মাত্র তিন মাস বয়স থেকেই শিবানী তার মা বাবা কে জানিয়ে দেয় সে সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট। তাই শিবানীর অভিভাবকরা তাকে সংগীত চর্চার দিকেই এগিয়ে দিলেন। Rabindra Bharati University থেকে (Vocal Music Hons) music এ 91’5% পেয়ে Graduation complete করেছে। এখন Music ( আধুনিক বাংলা গান) নিয়ে MA 4th semester পড়ছে।
2019 সালে West Bengal Govt থেকে “Role Model Award”2019 পেয়েছে গানে outstanding performance এর জন্য।
বর্তমানে Election Commission of India r PWD Ambassador।
শিবানী রাজ্যের বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করলে, তাকে, শুধু মাত্র দৃষ্টিহীন ও অর্টিজম সম্পন্ন মানুষ হবার কারণে অন্যায় ভাবে শান্তনা পুরস্কার দিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে ব্রাত্য করে দেওয়া হত।
সঙ্গীতের রিয়েলিটি শো গুলির পিছনের রহস্য হামেশাই আমরা খবরের শিরোনামে দেখতে পাই। সেই রিয়েলিটি শোয়ের প্রাক্তন বিচারকরাই পরবর্তী কালে ক্ষোভ উগরে দিয়ে নিন্দা করে বলেছেন কি ভাবে ওই অনুষ্ঠান গুলিতে অযোগ্য শিল্পী কে জিতিয়ে দেওয়া হয় আর যোগ্য শিল্পীদের ব্রাত্য করে দেওয়া হয়। সবটাই আসলে টাকার খেলা আর কুমিরের চোখের জল।
এবার দ্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলস এই শিবানী কে সুযোগ করে দিলো আসন্ন বাংলা চলচিত্রে প্লেব্যাক করার। আমরা এখুনি সংগীত পরিচালকের নাম জানাচ্ছি না তবে কলকাতার স্বনামধণ্য সংগীত পরিচালক ইতিমধ্যেই শিবানীর প্রতিভা দেখে চমকে উঠেছেন।

স্বাভাবিক ভাবেই খুশি শিবানীর মা ও বাবা। একই সাথে আরো অর্টিজম সম্পন্ন শিশুর বাবা মা রাও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। তাদের শিশুরাও কোন অংশে পিছিয়ে নেই।
গানটি মুক্তি পেতে পারে এবছর পুজোর আগেই, তাই শিবানী কে একটা নতুন পুজোর আনন্দ দিতে পেরে আমরা সকলেই খুব তৃপ্ত ও আনন্দিত।