ভোজনরসিক বাঙালির স্বাধের স্বাধীনতা বজায় রাখল রাজ্য সরকার।
বৃষ্টি পড়লেই বাঙালির মন চায় সিঙাড়া আর সঙ্গে গরম জিলিপি! কিন্তু সেই চিরচেনা খাদ্যাভ্যাসে ‘সতর্কীকরণ’ টানার চেষ্টা করল কেন্দ্র—যা মানতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, “এটা রাজ্যের নির্দেশিকা নয়। আমরা এটা কার্যকর করব না।”

সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সিঙাড়া-জিলিপির মতো খাদ্যদ্রব্য নিয়ে সতর্কীকরণ জারি হয়েছে। পোস্টার লাগিয়ে জানাতে বলা হয়েছে, কতটা চিনি, ট্রান্স-ফ্যাট বা ক্যালোরি রয়েছে এসব খাবারে। যদিও খাদ্য নিষিদ্ধ করার কোনও কথাই সেখানে ছিল না।
কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে এখন থেকে নাকি সিঙ্গাড়া/জিলিপি খাওয়া যাবে না। এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনো বিজ্ঞপ্তি নয়। আমরা সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকরও করব না।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 15, 2025
আমার মনে হয়, সিঙ্গাড়া এবং জিলিপি অন্যান্য…
রাজ্যের প্রতিক্রিয়া:
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স (পূর্বতন টুইটার) পোস্টে লেখেন —
“স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কোনও সিঙাড়া/জিলিপি নিষিদ্ধ করার বিজ্ঞপ্তি আমাদের হাতে আসেনি। এটা রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি নয় এবং আমরা কার্যকর করব না।”
তিনি আরও বলেন,
“মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। সিঙাড়া-জিলিপি শুধু বাংলায় নয়, বহু রাজ্যের মানুষের কাছে জনপ্রিয় খাবার। এমন সিদ্ধান্ত নিলে তা সংস্কৃতিতেই আঘাত।”
কেন্দ্রের ব্যাখ্যা:
খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার ফ্যাক্ট-চেক করে জানায়, তারা কোথাও বলেনি এই ধরনের খাবার নিষিদ্ধ করতে হবে। শুধু মাত্র সতর্কীকরণ পোস্টার লাগানোর কথা বলা হয়েছে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, যাতে শিক্ষার্থীরা পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন হন।