তারাপীঠ, এক প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক তীর্থস্থান। এখানে দেবী তারার পূজার জন্য ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। সম্প্রতি খানাকুল ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি স্বপন হাজরা তারাপীঠে মহাযজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন।

মঙ্গল কামনায় মহাযজ্ঞ
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং অন্যান্য বিশিষ্ট নেতাদের মঙ্গল কামনায় স্বপন হাজরা মহাযজ্ঞ আয়োজন করেন। তার সাথে নিজের পরিবারের মঙ্গল ও এলাকার মানুষের শান্তি কামনায় তিনি উপবাস থেকে এই যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেন। এই মহাযজ্ঞে পুরোহিতদের উপস্থিতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।


তারাপীঠ মন্দিরের কাঠামো ও পরিষেবা নিয়ে ভক্তদের অভিজ্ঞতা
কলকাতা থেকে আগত মালবিকা সেনগুপ্ত সাহা জানান, তারাপীঠ মন্দিরের পরিষেবা এখন আগের তুলনায় অনেক উন্নত। মন্দিরের কাঠামো অত্যন্ত সুন্দর এবং ভক্তদের জন্য অত্যন্ত সুব্যবস্থা রয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে ফিরে যান মনের শান্তি নিয়ে।

স্বপন হাজরার বক্তব্য
NEWS অগ্নির সাক্ষাৎকারে স্বপন হাজরা জানান, “মায়ের আশীর্বাদে সকলের মঙ্গল হোক। এই মহাযজ্ঞ শুধু আমার বা দলের জন্য নয়, এটি সকলের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যে।” তারাপীঠে উপস্থিত ভক্তদের সাথেও তিনি কথা বলেন এবং মায়ের প্রসাদ বিতরণ করেন।
তারাপীঠ: ভক্তদের আস্থার কেন্দ্র
তারাপীঠের ঐতিহ্য, দেবী তারার মহিমা, এবং ভক্তদের নিরন্তর আসা-যাওয়া এই স্থানকে করেছে পবিত্র। মহাযজ্ঞের মতো এমন আয়োজনগুলি এই তীর্থস্থানের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
এই মহাযজ্ঞ শুধুমাত্র ধর্মীয় কর্মকাণ্ড নয়, বরং রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত একটি মহৎ উদ্যোগ। স্বপন হাজরার এই প্রচেষ্টা মানুষের মনে এক অন্যরকমের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জাগিয়ে তুলেছে।