প্রতি বছরের মতো এবছর ও বর্ষ সেরা সম্মান ” শ্রেষ্ঠ বাঙালি” সম্মানের আয়োজন করেছে দ্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলস। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তিত্বরা বাঙালি সমাজ কে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, গর্বিত করছেন তাদের মধ্যে থেকেই এবারে মনোনীত হলেন বিশিষ্ট মনোবিদ ডাঃ শ্রদ্ধাঞ্জলি দাশগুপ্ত।
ভালো থাকতে ভুলে যাচ্ছে বাঙালি। সম্পর্কের মধ্যে আসছে ভাঙন। মন খুলে কথা না বলতে পারা থেকে শুরু হচ্ছে অপরাধ বোধ আবার কোথাও মনের নানান অজানা রহস্য মনের মধ্যে থেকেই বাড়ছে মানসিক অবসাদ, হিংস্রতা এবং আত্মহত্যা প্রবণতা।
সমাজ কি বলবে? সব থেকে বড় ভয় এই প্রশ্ন টাকেই। তার্কিক বাঙালি দৈনন্দিন জীবনের বহু বিষয় নিয়েই উন্মুক্ত মনে কথা বলতেই পারেনা। বিবাহ বিচ্ছেদ বা ডিভোর্স হলে প্রকাশ্যে সেকথা স্বীকার করতে ভয় পান অনেকেই। প্রেমের বিচ্ছেদ থেকে অনেকেরই মধ্যেই আসে অবসাদ, প্রতিশোধ স্পৃহা আবার কখনো নেশায় আসক্ত হয়ে আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যাওয়া। এসব ছাড়াও শরীরিক মিলনে নানান অসুবিধা নিয়েও কথা বলতে ভয় পান বা লজ্জা পান অনেকেই। আর এখান থেকেই শুরু হয় নানান মানসিক বিকার বা অসুখ।
বাঙালি আজ আধুনিক হলেও গোঁড়া অভিভাবকত্ব থেকেই মানসিক দূরত্ব তৈরী হয়েযায় সন্তানের সাথে। সন্তান এর সাথে বন্ধুত্ব করতে পারলেও এমন অনেক বিষয় থাকে যা এখনও অনেক বাবা মা সন্তানের সাথে খোলা মেলা আলোচনা করতে পারেননা। অন্যদিকে কৈশোর থেকে যৌবনের সন্ধিক্ষনে ঘটে যাওয়া নানান যৌন সমস্যার কথা অজানা থেকে যায় অনেক অভিভাবকের। ফলত সেখান থেকেও সন্তানের মধ্যে আসে নানান মানসিক অবসাদ, ভীতি ও আশঙ্কা।
বাঙালি কে শারীরিক সুস্থতার সাথে মানসিক সুস্থতার খেয়াল রাখতে হবে আর সেই নিয়েই কাজ করে চলেছেন ডাঃ শ্রদ্ধাঞ্জলি দাশগুপ্ত। মনের কত অজানা রহস্য যে আপনার মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে তা হয়তো আপনার ও জানা নেই। শরীরিক চিকিৎসার মতো মানসিক চিকিৎসাও সাধারণ মানুষের প্রতি নিয়ত প্রয়োজন। ঠিক জ্বর সর্দির মতোই। আমাদের সকলের মধ্যেই কম বেশী মানসিক বিকার বা অসুস্থতা আছে। তবে এগুলো আমরা স্বীকার করতে ভয় পাই।
ডাঃ শ্রদ্ধাঞ্জলি দাশগুপ্ত বাঙালির মনের সুস্থতা নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন তার রিসার্চ ও পরিষেবা। বাঙালি জাতি কে মন থেকে উন্মুক্ত মানসিকতার দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছেন। আর এই কারণেই দ্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলস তার হাতে তুলে দিতে চলেছে “শ্রেষ্ঠ বাঙালি -২০২৫ ” সম্মান।