খড়্গপুরে প্রকাশ্যে এক প্রবীণ সিপিএম নেতাকে বেধড়ক মারধর করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে। ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসল তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বেবিকে শোকজ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নিজেই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কি ঘটেছিল সেইদিন?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, খড়্গপুরের এক সিপিএম সমর্থক অনিল দাসকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছেন তৃণমূল নেত্রী বেবি কোলে এবং আরও কয়েকজন মহিলা। জুতো দিয়ে মারার দৃশ্যও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জনমনে ক্ষোভ ছড়ায়।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/30/tmc-leader-assaults-elderly-cpm-worker-2025-06-30-20-51-40.jpg)
দলের কড়া পদক্ষেপ
বিষয়টি সামনে আসতেই তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব দ্রুত পদক্ষেপ করে। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা বেবিকে একটি শোকজ নোটিস পাঠিয়েছেন। নোটিসে বলা হয়েছে, “আপনি প্রকাশ্যে আইন হাতে তুলে নিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন।” বেবিকে তিন দিনের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে, তৃণমূলই খড়্গপুর টাউন থানায় বেবির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। দলের তরফে জানানো হয়েছে, এমন আচরণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
.webp)
বেবি কোলের পাল্টা যুক্তি
বেবি কোল অবশ্য অনুতপ্ত নন। তাঁর দাবি, “বৃদ্ধ অনিল দাস তিনজন মহিলার কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। এমনকি মহিলাদের কুপ্রস্তাবও দিয়েছেন। তাই আমি প্রতিবাদ করেছি। মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় হলে আমি লড়বই।” তবে কেন থানায় অভিযোগ না করে আইন নিজের হাতে তুললেন, সে বিষয়ে সঠিক জবাব দেননি বেবি।
রাজনৈতিক বার্তা স্পষ্ট
এই ঘটনায় স্পষ্ট, তৃণমূল দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি কঠোর। রাজ্য নেতৃত্ব সরাসরি পদক্ষেপ করে বার্তা দিল—দলের ভাবমূর্তির প্রশ্নে কোনও রকম আপস নয়।