রাজ্য রাজনীতিতে ফের তুঙ্গে বিতর্ক। সাসপেন্ডেড তৃণমূল ছাত্রনেত্রী রাজন্যা হালদার এবং কসবা আইন কলেজ গণধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে ঘিরে এবার উঠে এল এক বিস্ফোরক দাবি। অভিযোগ, রাজন্যার স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীর মদতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লিগাল সেলে মনোজিৎকে ‘কো-অর্ডিনেটর’-এর পদ পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল।

তিতাস মান্না নামে কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র ও আইনজীবী সামনে এনে ফেলেছেন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ছবি ও ‘শোকজ’-এর প্রমাণ। তাঁর দাবি, ২০২২ সালে তৈরি হওয়া লিগাল সেলের দায়িত্বে ছিলেন প্রান্তিক চক্রবর্তী নিজেই। তিনিই নিজের ক্ষমতা খাটিয়ে বিতর্কিত মনোজিৎকে ওই সেলে ঢুকিয়ে দেন। এই নিয়েই প্রশ্ন, যে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্তকে নিজেই স্বামী দলীয় পদে বসান, সেই ব্যক্তির ফোনে রাজন্যার ‘এআই নগ্ন ছবি’ থাকার অভিযোগ কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
📣 রাজন্যার ‘টাইমিং’ নিয়েও প্রশ্ন


তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় এবং বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, “২০২৪ সালের ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে এতদিন পর কেন সেই অভিযোগ তোলা হচ্ছে?” কেনই বা এত দেরিতে রাজন্যা সেই বিষয়টি সামনে আনলেন? এর পিছনে ব্যক্তিগত স্বার্থ কিংবা দলীয় ফায়দা তোলার চেষ্টাই কি কাজ করছে?
💬 অভিযুক্তদের প্রতিক্রিয়া
প্রান্তিক চক্রবর্তী অবশ্য দাবি করেছেন, “আমি একা ওই সেল তৈরি করিনি, কমিটি গঠন হয়েছিল যৌথভাবে।” কিন্তু তিতাসের দাবি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদে আগে এমন কোনও সেল ছিল না, এবং সেই সেল তৈরির নেপথ্য কুশীলব ছিলেন একমাত্র প্রান্তিকই। তাঁর দাবি, “রাজন্যার স্বামীই দাগি মনোজিৎ মিশ্রকে দায়িত্বে বসান, তারপর আমাদের প্রশ্ন করায় উলটে শোকজ করেন।”
রাজন্যার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।