সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন—রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে আছে মাত্র ১০ থেকে ১২ দিন। এর মধ্যেই ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সম্মত না হলে, রাশিয়ার ওপর পড়বে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা। এই হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্পের নতুন বার্তা: নিষেধাজ্ঞার ছায়ায় পুতিন
ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি যদি আবার প্রেসিডেন্ট হন, তবে তিনি মাত্র
“২৪ ঘণ্টার মধ্যেই” ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে পারেন। আর তার প্রথম পদক্ষেপ হবে—পুতিনকে কড়া ডেডলাইন দিয়ে চাপ তৈরি করা।
তিনি বলেন,
“পুতিনের হাতে আছে ১০ বা ১২ দিন। এর মধ্যে যদি শান্তি চুক্তিতে না পৌঁছন, তবে রাশিয়ার ওপর আর্থিক এবং সামরিকভাবে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।”

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: শান্তির সম্ভাবনা না কি রাজনৈতিক কৌশল?
ট্রাম্পের মন্তব্য অনেকের মতে কেবলমাত্র নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক বার্তা হতে পারে। তবে এটি একথাও বোঝায় যে যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রশাসন এই যুদ্ধে সম্পূর্ণ নতুন নীতি গ্রহণ করতে পারে।
পূর্ববর্তী বাইডেন প্রশাসনের নীতির বিপরীতে, ট্রাম্প বরাবরই সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার পক্ষপাতী। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, পুতিনের ওপর সময়সীমা চাপিয়ে দেওয়া শুধু উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
নিষেধাজ্ঞা নতুন করে আরোপ হলে কী হতে পারে?
যদি পুতিন এই শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং ১২ দিনের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হয়, তবে রাশিয়ার ওপর আরোপিত হতে পারে:
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কঠিন সীমাবদ্ধতা
- রাশিয়ার ব্যাংক ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা
- ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গেও সমন্বয় করে কূটনৈতিক চাপ
এই পরিস্থিতি ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কৌশল ও রাশিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।

উপসংহার: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি কি শান্তির বার্তা না কৌশলগত চাপ?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বার্তা এখন বিশ্ব রাজনীতিতে বড় প্রশ্ন তুলছে—এই হুঁশিয়ারি কি বাস্তব শান্তির সম্ভাবনা, নাকি ২০২4 সালের মার্কিন নির্বাচনের প্রচারণার কৌশল?
একদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের জন্য এটি হতে পারে আশার আলো। অন্যদিকে, পুতিন যদি চুক্তিতে রাজি না হন, তবে যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।
📣 আপনার মতামত জানান:
আপনি কি মনে করেন ট্রাম্পের পরিকল্পনা সত্যিকারের শান্তি আনবে, না কি এটি রাজনৈতিক চমক?