যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, মার্কিন বাহিনী ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এই হামলাগুলি সংঘটিত হয়েছে ইরান-ইস্রায়েল চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে। আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান—যেখানে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি গোপনে পরিচালিত হচ্ছে বলে সন্দেহ করা হয়। ট্রাম্প একে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে দাবি করেছেন।
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) June 21, 2025
২০২৫ সালের ২১ জুন রাতে (স্থানীয় সময় অনুযায়ী), মার্কিন B-2 স্টিলথ বোমার্ডার থেকে অত্যাধুনিক GBU-57 “ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর” বোমা ফেলা হয় ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক সাইটে। এই বোমা এতটাই শক্তিশালী যে, এটি শত ফুট নিচে মাটির গভীরে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম।
এই আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। ট্রাম্প দাবি করেন, “সকল বিমান নিরাপদে ফিরে এসেছে। এখন সময় শান্তির।”
হামলার পটভূমিব্যবহৃত অস্ত্র ও কৌশল
অস্ত্র | বিবরণ |
---|---|
B-2 Stealth Bomber | রাডার-এড়িয়ে গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম |
GBU-57 MOP Bomb | ভূগর্ভস্থ সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনায় ধ্বংসক্ষম |
- গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক সংঘাত ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে।
- ইসরায়েল ইরানের বিমানঘাঁটি, অস্ত্র গুদাম ও রাডার সিস্টেমে ধারাবাহিক আক্রমণ চালায়।
- ইরান পাল্টা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল অভিমুখে।
এর মাঝেই আমেরিকা এই সরাসরি আক্রমণের মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত করে তোলে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইরানের প্রতিক্রিয়া:
ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ এক জরুরি বৈঠকে বসেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানান, “এই আগ্রাসনের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।”
রাশিয়া ও চীন:
উভয় দেশই একে “প্রতিহিংসাপরায়ণ ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন” বলে নিন্দা করেছে।
রাষ্ট্রসংঘ:
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।

ব্যবহৃত অস্ত্র ও কৌশল
অস্ত্র | বিবরণ |
---|---|
B-2 Stealth Bomber | রাডার-এড়িয়ে গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম |
GBU-57 MOP Bomb | ভূগর্ভস্থ সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনায় ধ্বংসক্ষম |

ট্রাম্প Truth Social-এ বলেন:
“আমি শান্তি চাই, কিন্তু যদি কেউ আমাদের বা আমাদের মিত্রদের হুমকি দেয়, আমরা চুপ করে থাকব না। আজ আমরা সেই কথা রাখলাম।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। যদি ইরান পাল্টা প্রতিশোধ নেয়, তাহলে সরাসরি মার্কিন বাহিনী এবং ইসরায়েলও নতুন করে বড় যুদ্ধে জড়াতে পারে।