Home » নিজের আয়নায় ঝাপসা, অথচ অন্যের জীবনে জজ: সোশ্যাল মিডিয়ার বিচার সভায় আমরা সবাই বিচারক!
মতামত দেওয়া এক জিনিস, আর কারও জীবন বা আচরণকে বিচার করা আরেক। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদম আমাদের ক্রমাগত ঠেলে দিচ্ছে ট্রায়াল বক্সে। কেউ একটা বক্তব্য দিলেই, সেটা কীভাবে বলা উচিত ছিল — তা নিয়ে শুরু হয় বিশ্লেষণ, ট্রল, এমনকি ব্যক্তিগত আক্রমণ।
Table of Contents
Share Our Blog :
Facebook
WhatsApp
বাংলা নিউজ ডেস্ক | The Indian Chronicles
আজকের ডিজিটাল যুগে সবচেয়ে সহজ কাজটি হল — অন্যের জীবনে মন্তব্য করা। রাজনৈতিক বিতর্ক থেকে শুরু করে সেলেবদের ব্যক্তিগত জীবন কিংবা পাশের বাড়ির সামান্য বিবাদ — সব কিছুতেই আমাদের মতামতের রায় ঝরে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে। যেন আমরা সবাই এক একজন সর্বজ্ঞ বিচারক।
কিন্তু এই অভ্যাসের পেছনে কি আমরা কখনও নিজেদের দিকে ফিরে তাকাই? আমরা নিজেদের জীবন, ভুল-ত্রুটি, সীমাবদ্ধতা আর জটিলতা নিয়ে কতটা সচেতন?
মতামত বনাম বিচার: পাতলা সীমারেখা
মতামত দেওয়া এক জিনিস, আর কারও জীবন বা আচরণকে বিচার করা আরেক। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদম আমাদের ক্রমাগত ঠেলে দিচ্ছে ট্রায়াল বক্সে। কেউ একটা বক্তব্য দিলেই, সেটা কীভাবে বলা উচিত ছিল — তা নিয়ে শুরু হয় বিশ্লেষণ, ট্রল, এমনকি ব্যক্তিগত আক্রমণ।
রাজনৈতিক নেতাদের ভুল থেকে শুরু করে অভিনেত্রীর পোশাক, কিংবা সাধারণ মানুষের একটি পোস্ট — সবকিছুতেই তৈরি হয় ‘সাধারণ জনগণের আদালত’।
“Cancel Culture” বা ‘ডিজিটাল চাবুক’
সোশ্যাল মিডিয়ার এই বিচার সভায় সবচেয়ে ভয়ংকর দিকটি হল “cancel culture”। একবার কাউকে কাঠগড়ায় তুললে, তার জীবন, কাজ, ভাবমূর্তি — সব কিছুই মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। অথচ আমরা ভুলে যাই, প্রত্যেক মানুষই ভুল করতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে — সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি তো?
আত্মসমালোচনার অভাব: নিজেকে চেনার সংকট
আমরা যতটা সময় ব্যয় করি অন্যের পোস্টে মন্তব্য করতে, তার অর্ধেক সময়ও যদি নিজেদের জীবন নিয়ে চিন্তা করতাম, তাহলে হয়তো আমরা আরও সহানুভূতিশীল, সংবেদনশীল এবং দায়িত্ববান হতেই পারতাম।
সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রবণতা আসলে আত্মবিশ্বাসের অভাব, সামাজিক স্বীকৃতির খিদে এবং অনলাইন ডোপামিন রিওয়ার্ড সিস্টেমের ফসল। একবার লাইক-মতামত পেলে আমরা মনে করি, “আমি কিছু বলছি, মানে আমি কিছু”।
সমাধান কোথায়?
১. মতামত দেওয়ার আগে তথ্য যাচাই করুন। ২. নিজেকে প্রশ্ন করুন: আমি কি আসলেই এই বিষয়ে জ্ঞান রাখি? ৩. ভিন্ন মতকে সম্মান দিন। ৪. নিজের জীবনেও আত্মসমালোচনার জায়গা তৈরি করুন। ৫. অনলাইন আচরণে শালীনতা বজায় রাখুন।
উপসংহার
প্রযুক্তির অগ্রগতিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের হাতে এসেছে ঠিকই, কিন্তু সেই স্বাধীনতা যেন অন্যের উপর দমন হয়ে না পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচারকের আসনে বসার আগে, নিজেকে একবার আয়নায় দেখে নেওয়া জরুরি — আমি কি সত্যিই নিজেকে বোঝার চেষ্টা করছি?
এলন মাস্কের স্টারলিংক পেল ভারতের টেলিকম মন্ত্রকের অনুমোদন। GMPCS লাইসেন্স পাওয়ার পর, এবার দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও আসছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হাই-স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা। ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পে নতুন দিশা দেখাতে পারে এই পদক্ষেপ।
‘রেইনবো জেলি’র পর আবার সৌকর্য ঘোষাল ফিরছেন নতুন রূপকথা ও বিজ্ঞানের ছোঁয়ায়—নাম ‘পক্ষীরাজের ডিম’। মুক্তি পাচ্ছে ১৩ জুন, প্রযোজনায় জিও স্টুডিওস ও এসভিএফ।
জার্মানির বার্লিনে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও বিজেডি-র প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্র। রাজনীতির দুই অভিজ্ঞ মুখের এই বিয়ে নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
নিজের আয়নায় ঝাপসা, অথচ অন্যের জীবনে জজ: সোশ্যাল মিডিয়ার বিচার সভায় আমরা সবাই বিচারক!
Home » নিজের আয়নায় ঝাপসা, অথচ অন্যের জীবনে জজ: সোশ্যাল মিডিয়ার বিচার সভায় আমরা সবাই বিচারক!
Table of Contents
Share Our Blog :
বাংলা নিউজ ডেস্ক | The Indian Chronicles
আজকের ডিজিটাল যুগে সবচেয়ে সহজ কাজটি হল — অন্যের জীবনে মন্তব্য করা। রাজনৈতিক বিতর্ক থেকে শুরু করে সেলেবদের ব্যক্তিগত জীবন কিংবা পাশের বাড়ির সামান্য বিবাদ — সব কিছুতেই আমাদের মতামতের রায় ঝরে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে। যেন আমরা সবাই এক একজন সর্বজ্ঞ বিচারক।
কিন্তু এই অভ্যাসের পেছনে কি আমরা কখনও নিজেদের দিকে ফিরে তাকাই? আমরা নিজেদের জীবন, ভুল-ত্রুটি, সীমাবদ্ধতা আর জটিলতা নিয়ে কতটা সচেতন?
মতামত বনাম বিচার: পাতলা সীমারেখা
মতামত দেওয়া এক জিনিস, আর কারও জীবন বা আচরণকে বিচার করা আরেক। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদম আমাদের ক্রমাগত ঠেলে দিচ্ছে ট্রায়াল বক্সে। কেউ একটা বক্তব্য দিলেই, সেটা কীভাবে বলা উচিত ছিল — তা নিয়ে শুরু হয় বিশ্লেষণ, ট্রল, এমনকি ব্যক্তিগত আক্রমণ।
রাজনৈতিক নেতাদের ভুল থেকে শুরু করে অভিনেত্রীর পোশাক, কিংবা সাধারণ মানুষের একটি পোস্ট — সবকিছুতেই তৈরি হয় ‘সাধারণ জনগণের আদালত’।
“Cancel Culture” বা ‘ডিজিটাল চাবুক’
সোশ্যাল মিডিয়ার এই বিচার সভায় সবচেয়ে ভয়ংকর দিকটি হল “cancel culture”। একবার কাউকে কাঠগড়ায় তুললে, তার জীবন, কাজ, ভাবমূর্তি — সব কিছুই মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। অথচ আমরা ভুলে যাই, প্রত্যেক মানুষই ভুল করতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে — সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি তো?
আত্মসমালোচনার অভাব: নিজেকে চেনার সংকট
আমরা যতটা সময় ব্যয় করি অন্যের পোস্টে মন্তব্য করতে, তার অর্ধেক সময়ও যদি নিজেদের জীবন নিয়ে চিন্তা করতাম, তাহলে হয়তো আমরা আরও সহানুভূতিশীল, সংবেদনশীল এবং দায়িত্ববান হতেই পারতাম।
সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রবণতা আসলে আত্মবিশ্বাসের অভাব, সামাজিক স্বীকৃতির খিদে এবং অনলাইন ডোপামিন রিওয়ার্ড সিস্টেমের ফসল। একবার লাইক-মতামত পেলে আমরা মনে করি, “আমি কিছু বলছি, মানে আমি কিছু”।
সমাধান কোথায়?
১. মতামত দেওয়ার আগে তথ্য যাচাই করুন।
২. নিজেকে প্রশ্ন করুন: আমি কি আসলেই এই বিষয়ে জ্ঞান রাখি?
৩. ভিন্ন মতকে সম্মান দিন।
৪. নিজের জীবনেও আত্মসমালোচনার জায়গা তৈরি করুন।
৫. অনলাইন আচরণে শালীনতা বজায় রাখুন।
উপসংহার
প্রযুক্তির অগ্রগতিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের হাতে এসেছে ঠিকই, কিন্তু সেই স্বাধীনতা যেন অন্যের উপর দমন হয়ে না পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচারকের আসনে বসার আগে, নিজেকে একবার আয়নায় দেখে নেওয়া জরুরি — আমি কি সত্যিই নিজেকে বোঝার চেষ্টা করছি?
More Related Articles
এলন মাস্কের স্টারলিংক পেল ভারতের টেলিকম মন্ত্রকের অনুমোদন। GMPCS লাইসেন্স পাওয়ার পর, এবার দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও আসছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হাই-স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা। ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পে নতুন দিশা দেখাতে পারে এই পদক্ষেপ।
‘রেইনবো জেলি’র পর আবার সৌকর্য ঘোষাল ফিরছেন নতুন রূপকথা ও বিজ্ঞানের ছোঁয়ায়—নাম ‘পক্ষীরাজের ডিম’। মুক্তি পাচ্ছে ১৩ জুন, প্রযোজনায় জিও স্টুডিওস ও এসভিএফ।
জার্মানির বার্লিনে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও বিজেডি-র প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্র। রাজনীতির দুই অভিজ্ঞ মুখের এই বিয়ে নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তীর ঘরে এল পুত্র সন্তান। নতুন বাবা-মা হওয়ার আনন্দে ভাসছে টলিউড। জেনে নিন তাঁদের প্রস্তুতি ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা।
Get the latest update on Covid-19 in West Bengal, June 2025. Explore rising cases, booster drive status, and government response.
In a bold and unwavering stance, veteran actor and politician Kamal Haasan has confirmed that he will not release his film in Karnataka nor issue