দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আনুষ্ঠানিক প্রবেশ ঘটেছে। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের কারণে রাজ্যের দক্ষিণাংশে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বীরভূম সহ একাধিক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

🌧️ কী বলা হয়েছে পূর্বাভাসে?
- দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে, যা আগামী দিনগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়াবে।
- ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে উত্তর ওড়িশা ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপর। এর প্রভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে চলেছে।
- উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার সহ পাহাড়ি জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

⚠️ সতর্কতা ও নির্দেশিকা:
- জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, বিশেষ করে উপকূলবর্তী ও নদীঘেরা এলাকায়।
- মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে না যাওয়ার পরামর্শ।
- শহরাঞ্চলে জল জমে যাওয়া, ট্র্যাফিক জ্যাম, ও বজ্রপাতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকায় সাধারণ মানুষকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে।

🚇 কলকাতা ও আশপাশ:
- আগামী সপ্তাহের শুরুতেই শহরে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা।
- ভোর ও বিকেলের সময় বজ্রপাত হতে পারে। অফিসযাত্রী ও স্কুলপড়ুয়াদের জন্য সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান।
📊 অতীতের রেকর্ড:
আবহাওয়াবিদদের মতে, গত ৫ বছরের মধ্যে এই সময়ে দক্ষিণবঙ্গে এত সক্রিয় বর্ষা দেখা যায়নি। বঙ্গোপসাগরের আর্দ্রতা ও ঘূর্ণাবর্ত এবার বর্ষাকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে।
✅ কী করবেন? (Safety Tips)
- খোলা জায়গায় না থাকুন বজ্রপাতের সময়।
- প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহার করুন।
- নদীর ধারে বা নিম্নভূমিতে না থাকাই ভাল।
- প্রশাসনের নির্দেশ মানুন, বিশেষ করে উপকূলবর্তী অঞ্চলে।