মনে পড়ে কোভিডে আক্রান্ত সেই সাঙ্ঘাতিক লক-ডাউনের দিন গুলির কথা? যার জন্য পৃথিবীর মানুষ হয়েছিল গৃহবন্দী ও সাথে সাথেই কর্মহীন। মৃত্যু মিছিলে সামিল হয়েছিল আমাদের কাছের প্রিয়জনরা। কেউ বা কোভিড আক্রান্ত হয়ে, কেউ কর্মহীন হয়ে অর্থের অভাবে আবার কতশত পরিযায়ী অন্য রাজ্য থেকে পায়ে হেটে বাড়ী ফিরতে গিয়ে দূর্ঘটনায়। পৃথিবীর বুক থেকে মুছে গেছে নাম করা বেশ কিছু বহুজাতিক সংস্থা গুলি। বেড়েছে বেকারত্ব। পেশা বদলেছেন প্রায় 95% জনগন। পারিবারিক উৎসব থেকে সামাজিক উৎসব, সবই প্রায় শিকেয় উঠেছিল। স্কুল কলেজ অফিস আদালত সব বন্ধ হয়ে কোলাহল মূখর কলকাতায় নেমেছিল শ্মশানের নিঃস্তব্ধতা। প্রায় দু-বছর পরে কড়া কোভিড নিয়মের শিথিলতা পেয়ে মানুষ সদ্য আবারও সাধারণ জীবন যাপন করতে শুরু করেছে। মুখোশের আড়াল থেকে বেরিয়ে নতুন জীবনে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ কিন্তু আবার চোখ রাঙাতে শুরু করেছে কোভিড আতঙ্ক।
কোভিড উৎপত্তি স্থল চিনে এই মুহুর্তে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা গগনচুম্বী এবং চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরে পর্যন্ত রোগীদের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই মৃত্যু মিছিল রুপ পরিবর্তন করে মৃত্যু বন্যায় রুপান্তরিত হয়েছে। একটি সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে চিনে কোভিড ভ্যাকসিন সঠিক ভাবে পরিচালনা না হওয়ায় বহু মানুষ এই ভ্যাকসিন নিতে অগ্রাহ্য করেছিলেন, ফলত চিনের মোট জনসংখ্যার ৭০% এর ও কম মানুষ এই ভ্যাকসিনের আওতাভুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে চিনের বেশিরভাগ শহরে কঠিন লকডাউন ঘোষনা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে নতুন করে। ইতিমধ্যেই রোগীর সংখ্যা ১১২ লাখ অতিক্রম করেছে যেখানে মৃত্যু হয়েছে ১.৬ লাখ। চিকিৎসকরা চিকিৎসার চাপে সভ রোগীদের সমান সময় দিতে পারছেন না। মৃতদেহ শৎকার করার জায়গার অভাব ঘটছে।
চিন সরকার এই নিয়ে এখন যথেষ্ট উদিগ্ন।
এই খবরের পরেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাথ্য দপ্তর থেকে একটি সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে দেশের প্রতিটি রাজ্যকে। সেখানে বলা হয়েছে – কেন্দ্রীয় স্বাথ্য মন্ত্রকের নেওয়া, পাঁচ দফা কোভিড প্রতিরোধ মুলক পদক্ষেপ যথাক্রমে, কোভিড পরিক্ষা ও নির্ধারণ | অনুসরন | চিকিৎসা | ভ্যাকসিন প্রদান ও কোভিড পরবর্তী লক্ষন সাফল্যের সাথে কাজ করায় গোটি দেশে সাপ্তাহিক ১২০০ নতুন কোভিড আক্রান্ত হচ্ছে যেখানে অনান্য দেশের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সাপ্তাহিক প্রায় ৩৫ লাখের বেশী। সেই হেতু প্রতিটি রাজ্যে কোভিড পরিক্ষা শিবির, আইসোলেশন সহ যাবতীয় ব্যাবস্থা আরো সক্রিয়তার সাথে নজর দিতে বলা হয়েছে। সাথে সাথে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়ান্ট SARC- CoV -2 র যাবতীয় লক্ষনের প্রতিও নজর দেবার সাথে সাথে সুস্থ হওয়া কোভিড আক্রান্ত ব্যাক্তিদের অনান্য উপসর্গের দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।