নাম জয়ন্ত দাশগুপ্ত, সামাজিক মাধ্যমে জেডিবুড়ো ( Jdburo ) নামেই বিশেষ করে পরিচিত। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি সামাজিক মাধ্যমে AITAA নামক একটি সংস্থা শুরু করেন যেখানে তিনি যুব সমাজের নতুন ফটোগ্রাফার, মডেল ও মেকাপ আর্টিস্টদের নিয়ে একত্রিত হয়ে নানান কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতি বছর কলকাতার গড়ের মাঠে “বসন্ত উৎসব” করে ও প্রিন্সেপ ঘাটে “777 দূর্গা” শুট করে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন এই জয়ন্ত দাশগুপ্ত। বরানগর কালিতলা লেনের বাসিন্দা এই জয়ন্ত দাশগুপ্ত নিজের স্ত্রী কন্যা পুত্র কে নিয়েই তৈরী করেছিলেন জলসাঘর নামে একটি সংস্থা যা আগামীতে OTT অ্যাপ হবার কথা বলেই তিনি তার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন।
জয়ন্ত দাশগুপ্তের আয়োজনে সাম্প্রতিক বসন্ত উৎসবেও দেখা গেছে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিদেরও তাদের মধ্যে রয়েছেন শাষক দলের বিখ্যাত নেতাও।
সুত্রের তথ্য অনুযায়ী, জয়ন্ত দাশগুপ্ত নিজেকে ভীষন রকমের প্রভাবশালী বলেই পরিচয় দিতেন। শাষক দলের নেতা-মন্ত্রী থেকে পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসার ও ফর্টউইলিয়ামের সেনা আধিকারিকরা সকলেই তার সম্পর্কে থাকেন। নিজেকে কলকাতা গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির জনক বা পিতা বলেই তিনি পরিচিতি দিতেন। বরানগর কুঠিঘাট অঞ্চলে কেবলটিভির ব্যাবসা থেকেই তার এই উত্থান। সর্বদা রঙিন ধুতি ও পাঞ্জাবীতেই নিজেকে রাখতে পছন্দ করতেন এই জেডিবুড়ো। নতুন প্রতিভাদের কাছে নিজেকে দিল দরিয়া করে তুলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তার সংস্থার সদস্য করে টাকা আদায় করতেন।
গতকাল এই জয়ন্ত দাশগুপ্ত কেই বরানগর থানা থেকে সকাল ৬টা নাগাদ বাড়িথেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কসবার, দীপান্বীতা দাস দত্তের অভিযোগ, এই জয়ন্ত দাশগুপ্ত, তার ও জনৈক দেবরাজ রায়চাঁদের সংস্থা থেকে প্রায় দশলক্ষ টাকা প্রতারনা করেছেন।
এছাড়াও এই জয়ন্ত দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে গর্জে ওঠেন কলকাতার বিশিষ্ট ফটোগ্রাফার সৌরভ মুখার্জী। তিনি ফেসবুক লাইভে জয়ন্ত দাশগুপ্তের নামে একাধিক অভিযোগের সাথে এও বলেন যে তার কাছে যা তথ্য প্রমান আছে তা প্রকাশ্যে আনলে পর্ন ভিডিও হার মানবে। বহু নারীদের কেই নানান প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে অবৈধভাবে লিপ্ত হয়েছেন এই জয়ন্ত দাশগুপ্ত ওরফে জেডি বুড়ো। আপনাদের জন্য রইলো সেই ভিডিওর লিঙ্ক। আপাতত এই জয়ন্ত দাশগুপ্ত ওরফে জেডিবুড়ো এখন পুলিশের হেফাজতে।