বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলা চলচিত্রের ধারা পরিবর্তন হয়েছে। এ ঘেয়ে রোমান্টিক বা একশন মুভি বা সেই এক ঘেয়ে শাশুড়ি বউমার সিরিজ থেকে অনেক আগে থেকেই বেরিয়ে এসেছে বাংলা চলচিত্র। বর্তমানে বাংলার নস্টালজিয়া আর খুব স্বাভাবিক জীবনের সমস্যা নিয়ে সামাজিক বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে শুরু করেছেন যা বাঙালি সিনেমা প্রেমিরাও দারুন ভাবে উপভোগ করছেন। বলা বাহুল্য আগের তুলনায় মানুষ বেশি হল মুখি হয়েছেন। প্রযোজক রাও লাভের মুখ দেখছেন আর তার সাথে তারাও নতুন ধারার বাংলা চলচিত্রে প্রযোজনা করার উৎসাহ পাচ্ছেন।
এছাড়া বর্তমানে ওটিটি প্লাটফর্মের দৌলতে বাংলা সিনেমা কিন্তু আর শুধু মাত্র কলকাতার আর আশে পাশের গ্রাম বাংলায় সীমাবদ্ধ নেই । এখন প্রায় গোটা বিশ্বের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালির কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলা সিনেমা।
গতকাল মুক্তি পেল সুদীপ দাসের পরিচলানায় নতুন বাঙলা সিনেমা ”কুলের আচার” । ছবি টি তে মুখ্য ভুমিকায় অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাণী হালদার । যিনি প্রায় বেশ কিছু বছর পরে একেবারেই অন্য ভুমিকায় বড়পর্দায় অভিনয়ে ফিরলেন। রয়েছেন সুজন নীল মুখোপাধ্যায় , বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও মধুমিতা সরকার । বিক্রম আর মধুমিতার জুটি টলিউডে এই প্রথম এবং আশা করা যায় তাদের মেল বন্ধন দর্শক দের মন জয় করবে।
ছবি টির বিষয় বস্তু খুব সাধারন হলেও আজকের দিনে এখনও বেশ প্রাসঙ্গিক। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম ও অনান্য সব ক্ষেত্রে নারী স্বাধীনতার কথা আলোচনা হলেও আজও বাঙালির ঘরে এই সমস্যা সুপ্ত ভাবে রয়েই গেছে । এখানে কুলের আচার বলতে , সুস্বাদু ফল কুলের সাথে নানান মশলা দিয়ে রান্না করে তৈরি করা আচার কে বলা হয়নি। বরং কুল অর্থাৎ বংশ আর আচার অর্থাৎ রীতিনীতির কথা বলতে চাওয়া হয়েছে।
বিয়ের পর মেয়ে পদবি বদলে ফেলে স্বামীর বাড়ির পদবি গ্রহণ করেন তবে ইদানিং কালে অনেক নারী বিয়ের পর নিজের বাড়ি ও স্বামীর বাড়ির দুই পদবি ব্যাবহার করতেও দেখা গেছে। খুব কম দেখা যায় যে বিয়ের পর নারী তার আগের পদবি বজায় রেখেছেন। এই নিয়েই একটি মজার ছবি ” কুলের আচার” যা হলে গিয়ে দেখে আপনার স্বাদ বদল করবেই ।
প্রিমিয়ারে ” কুলের আচার” এর সকল কলা কুশলী দের সাথে উপস্থিত ছিলাম আমরাও । কি জানালেন তাঁরা এই” কুলের আচার” নিয়ে জানতে দেখুন ভিডিও।
আর অবশ্যই আমাদের ইউটিউব চ্যনেল সাবস্ক্রাইব করবেন যাতে আমাদের সব খবর আপনার কাছে সবার প্রথমে পৌছায়। আমরা উৎকোচ, খাবারের প্যাকেট বা উপহারের বদলে বিনোদন সঙ্ক্রান্ত খবর করিনা। বাংলা চলচিত্রের উন্নতি কল্পে আমরাও ব্রতি।