পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ সেফটিপিনের মত প্রয়োজনীয় জিনিস বোধহয় মেয়েদের কাছে খুব কম আছে। বিশেষত মেয়েদের পোশাকের ক্ষেত্রে স্টাইলের ক্ষেত্রে এর থেকে প্রয়োজনীয় আর কিছু নেই। জিনিসটা দেখতে ছোট হলেও এর প্রয়োজনীয়তা বিশাল।
এখন শাড়ী পড়তে প্রায় খানদশেক সেফটিপিনের প্রয়োজন হয়। বা রাস্তায় হটাত বিপদ, টান লেগে জামাটা একটুখানি ছিঁড়ে গেলে একমাত্র ভরসা সেফটিপিন। তো সেই সেফটিপিন কোথা থেকে এল কে তৈরি করল তা কখনও জানতে ইচ্ছা হয়নি?
সেফটিপিন কিন্তু আজকের নয়, এর সৃষ্টি বহুপূর্বে। সেই সেফটিপিন তৈরির পিছনে রয়েছে এক গল্প। আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে আমেরিকার এক যন্ত্র মেকানিক ওয়াল্টার হান্ট খুব আর্থিক সমস্যায় পড়ে তার এক বন্ধুর কাছ থেকে ১৫ ডলার ধার করেন। কিন্তু সেই ধার শোধ করার ক্ষমতা তার হচ্ছিল না। লজ্জায় বন্ধুকে মুখ দেখাতে পারছিলেন না। মনে মনে ভাবছিলেন কিছু যন্ত্র তৈরি করতে পারলে তা বিক্রি করে ধার শোধ করতে পারবেন।
একদিন এসব ভাবতে ভাবতে হাতে একটি তার নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন। সেই সময় নিজের বেখেয়ালে তারটি বেকিয়ে ফেলেন, এবং তার হাতে ফুটে যায়। তখন হঠাৎ ই মনে হতে তারটির মাথার দিকে একটি খাপ আটকে দেন যাতে ফুটে না যায়। ব্যাস আর তাতেই তৈরি হয়ে যায় আজকের অন্যতম জনপ্রিয় প্রয়োজনীয় জিনিস সেফটিপিন।
হঠাৎ করেই জনপ্রিয়তা পেয়ে গেল সেই ছোট্ট যন্ত্রটি। এতটাই জনপ্রিয় হল যে ১৮৪৯ সালের ১০ই এপ্রিল নিজের নামে সেফটিপিনের পেটেন্ট করে নিলেন ওয়াল্টার হান্ট। সেই পেটেন্ট বিক্রি করে পেলে প্রায় ৪০০ ডলার। ধার তো শোধ হলই সাথে তার আর্থিক দুর্দশাও মিটে গেল। ক্রমে ওয়াল্টার হান্ট হয়ে উঠলেন আমেরিকার অন্যতম জনপ্রিয় ব্যবসায়ী। শুধুমাত্র সেফটিপিনের গুনে লক্ষ লক্ষ ডলার উপার্জন করলেন তিনি।