শীতকালে যেমন অত্যধিক শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ঠোঁট ফাটে, তেমনই গরমকালে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ক্ষতি হয় ঠোঁটের। তার জন্যই গরমকালেও ঠোঁটের নানা সমস্যা দেখা দেয়। গরমকালে শরীরে জলের চাহিদা বেশি থাকে। শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না থাকে, তাহলে আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তার প্রভাব পড়ে ত্বকে এবং ঠোঁটে। এছাড়াও যাঁদের পাকস্থলীর সমস্যা রয়েছে, হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরও ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- চিকিৎসকদের প্রথম ও প্রধান পরামর্শ, শরীর শুষ্ক হতে দেওয়া যাবে না কোনওমতেই। সবার আগে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করা জরুরি। সেইসঙ্গে রসালো ফল রাখুন সারাদিনের খাদ্য তালিকায়।
- এছাড়াও, ঠোঁট ময়শ্চারাইজ রাখতে ব্যবহার করুন লিপ বাম। লিপ বাম কেনার আগে তা দেখে নিন লিপ বামে যেন অবশ্যই হোয়াইট পেট্রোলিয়াম জেলি, শিয়া বাটার, ক্যাস্টর সিড অয়েল, মিনারেল অয়েল প্রভৃতি উপাদান থাকে। যে কোনও লিপবাম কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলি সবসময় কাছে রাখুন।
- ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে, বুঝলেই তা লাগিয়ে নিতে হবে। এসপিএফ-৩০ (SPF30) যুক্ত লিপস্টিক বা লিপবাম ব্যবহার করুন। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে ঠোঁট চাটবেন না। এতে ঠোঁট ফাটতে পারে। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে লিপ বাম লাগান।
ঠোঁটের যত্নে চটজলদি সমাধান –
খাঁটি নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, আলামন্ড অয়েল অথবা জোজোবা অয়েল, চাইলে ব্যবহার করতে পারে টিট্রি অয়েল, গ্রাপসিড অয়েল অথবা নিমের তেল।
প্রণালী: অন্তত তিন রকমের তেল কিনে রাখুন। একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। ফাটা (Chapped Lips) দূর হবে। দিনে অন্তত তিন বার করে ঠোঁটে লাগাতে পারেন এই তেলের মিশ্রণ। রাতে ঠোঁটে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে ভাল করে ধুয়ে নিন।