ফেব্রুয়ারির ভালোবাসার সপ্তাহের প্রথম দিন রোজ ডে, যা ৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। প্রেমের সপ্তাহের সূচনা হয় এই বিশেষ দিন দিয়ে, যেখানে প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে গোলাপ দিয়ে ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করে। কিন্তু এই রোজ ডে কবে থেকে শুরু হলো, আর কেনই বা এটি এত জনপ্রিয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রোজ ডে-র উৎপত্তি
রোজ ডে বা গোলাপ দিবসের সঠিক ইতিহাস পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, তবে এটি পশ্চিমা সংস্কৃতি থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হয়। ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে গোলাপ ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত।
প্রাচীন গ্রীক ও রোমান সভ্যতায় গোলাপকে দেবী আফ্রোদিতি (ভালোবাসার দেবী) ও ভেনাসের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হতো।
মধ্যযুগে প্রেমের চিঠি বা কবিতার সঙ্গে গোলাপ দেওয়া শুরু হয়।
আধুনিক সময়ে ভ্যালেন্টাইনস উইকের একটি অংশ হিসেবে রোজ ডে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
বিশেষ করে ১৯৮০-এর দশক থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় বাণিজ্যিকভাবে ভ্যালেন্টাইনস ডে পালনের সময় রোজ ডে-ও বিশেষ গুরুত্ব পায়। পরে এটি এশিয়া, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ উপমহাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কেন পালন করা হয় রোজ ডে ?
গোলাপের সৌন্দর্য ও সুবাস ভালোবাসার প্রতীক। রোজ ডে পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো—
- ভালোবাসার প্রকাশ: লাল গোলাপ ভালোবাসা ও রোমান্সের প্রতীক, যা প্রিয়জনকে উপহার দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করা হয়।
- বন্ধুত্ব ও শুভেচ্ছা: শুধুমাত্র প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই নয়, বন্ধু, পরিবার বা সহকর্মীদের সঙ্গেও এই দিনটি উদযাপন করা হয়। হলুদ গোলাপ বন্ধুত্বের প্রতীক, সাদা গোলাপ শান্তি ও শুভেচ্ছার প্রতীক, আর গোলাপি গোলাপ প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
- সম্পর্কের নতুন শুরু: অনেকেই এই দিনটিতে প্রেমের প্রস্তাব দেন বা নতুন সম্পর্কের সূচনা করেন।
কিভাবে উদযাপন করা হয় ?
প্রিয়জনকে পছন্দের রঙের গোলাপ উপহার দেওয়া।
হাতে লেখা ছোট্ট নোট বা কার্ড দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করা।
ফুলের তোড়া বা চকলেটের সঙ্গে গোলাপ দিয়ে সারপ্রাইজ উপহার দেওয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গোলাপ ও মিষ্টি বার্তা শেয়ার করা।
শেষ কথা
রোজ ডে শুধু প্রেমের জন্যই নয়, এটি সৌহার্দ্য, বন্ধুত্ব ও সুন্দর অনুভূতির প্রকাশের দিন। এটি শুধু গোলাপ দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সম্পর্কের সৌন্দর্য ও ভালোবাসা উদযাপনের উপলক্ষ। আপনি কাকে কোন রঙের গোলাপ উপহার দেবেন?
শুভ রোজ ডে!