শোভন মল্লিক, কলকাতা: তৃণমূল সুপ্রিম মমতা ব্যানার্জির পাশাপাশি তৃণমূলের এখন দ্বিতীয় প্রধান বলতেই অভিষেকের কথাই মাথায় আসে। অভিষেক কর্তব্যের সঙ্গে নিজস্ব দায়িত্ব পালন করছেন । তার ‘নবজোয়ারে’ -ও একত্রিত হচ্ছেন বহু মানুষ । অভিষেক দাবি করছেন, সেই নবজোয়ার দেখেই হিংসে করছে বিজেপি।
সেই কারণ বশতই কেন্দ্রীয় দল দ্বারা হেনস্তা করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। ২৯ মে জানা গিয়েছিল, সবুজ শিবিরের কর্মসূচির পাল্টা ‘জনসম্পর্ক যাত্রা’ করবে বিজেপি। বুধবার জানা গেল জুন মাসেই আসতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
অভিষেকের এই ‘নবজোয়ার’ যাত্রা ৩৫ দিনে পদার্পণ করল। এই জনসংযোগের সময়সীমা দুই মাস। শুধু তৃণমূল নয় বিজেপিরাও দুই মাসের ‘জনসম্পর্ক’ করতে আসছেন বাংলায়। সেই ‘জনসম্পর্কে’ উপস্থিত থাকবেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের বিভিন্ন নেতা এবং বিভিন্ন উচ্চপদস্থ মন্ত্রীরা। আগেই শোনা গিয়েছিল, জুনে রাজ্যে আসছেন জেপি নাড্ডা (JP NADDA)। সেই সফরে থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডেরাও।
শুধু এখানেই শেষ নয়, বুধবার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, শুধু রাজ্যের মন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাই নয়। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসতে চলেছেন বাংলায়। প্রধানত ‘জনসম্পর্ক’ যাত্রা হেতুই আগমন হতে চলেছে তাদের। তবে তাদের বাংলা সফরের তারিখ এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। মোদি- শাহ- নাড্ডা’র ৩টি রাজনৈতিক সভা করারও কথা। এই খবর শোনা মাত্রই তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করছেন। বিজেপি তৃণমূলের কপি, আর সেটাই প্রমাণ করছে বিজেপি বারবার।