না দিন যে বদলেছে তা অনেক আগে থেকেই আমরা জানি। একটা সময় ছিল জানলা দিয়ে বা ছাদ থেকে প্রেম করলেই ছি ছি রটে যেত কিন্তু এখন প্রেম করাটাই স্বাভাবিক। প্রেম তো দুর এখন পরকিয়া টাও আইনসিদ্ধ। কিন্ত এ দৃশ্যের উষ্ণায়নের ঠেলায় তো আমরাই সিদ্ধ হতে চলেছি। একবার ভেবে দেখুন, এমন কিছু চিকিৎসা আছে যার প্রচার পর্যন্ত কর্পোরেশনের বাথরুমের দেওয়ালে বা সরাসরি প্রকাশ্যে দেখা না যায় সেরকম জায়গাতেই লাগানো হয়। এখনো বহুল প্রচারিত জাপানি তেলের উপকারিতা কি সেটাই অনেকে বুঝে উঠতে পারিনি সেখানে এই বুড়ো বয়সে জাপটে ধরে, চেপ্টে চুমু!
এখনো শহরের আনাচে কানাচে প্রেমিক যুগলরা পুলিশের থেকে লুকিয়ে ঘনিষ্ঠ হয় কারন পুলিশ দেখলেই তাদের আইনি ঝামেলায় জড়াবে। শেষমেষ কিছু নগদ দিয়েই নিজেদের ছাড়াতে হবে। আর নাহলে পার্কের ঝোপে অথবা সন্ধ্যায় রবীন্দ্র সরোবর লেকে। তারাও তাদের প্রেম বা প্রেমের ছোঁয়া কে আঁধারে লুকিয়ে রাখে। আর একি দৃশ্য? পুলিশ এই দৃশ্য দুষনের কারনেই তো প্রেমিক যুগলদের ধরে। যাতে তারা যেখানে সেখানে এই দুঃসাহস না করতে পারে। কিন্তু এখন পুলিশ কি করবে? এটা কি দৃশ্য দূষনের আওতায় পড়েনা? নাকি এদের ছোঁয়া যাবেনা?
আবার শিরোনামে কানন ও বৈশাখী বলা ভালো শোভন ও বৈশাখী। ইচ্ছাকৃত ভাবে, ঘটাকরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করলেন তাদের চুম্বনের দৃশ্য। কারন – কয়েদিন আগে শোভন ও বৈশাখী কে আদালত চত্বরে শোভনের প্রথম (প্রাক্তন বলা ঠিক হবে কিনা জানিনা ) স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ভীষন রকম গালিগালাজ করেন। বৈশাখী সেই আগুনে ঘী ঢাললেন এই ছবি প্রকাশ্যে দিয়ে তা বোঝাইগেল। কিন্তু এতে অন্যদের কাছে কি বার্তা গেল?
রক্ষনশীল ভারতীয় তথা বাঙালি সমাজে এটা কি গ্রহন যোগ্য? তাও যদি শোভন বাব চেপ্টে না যেতেন। বৈশাখী দেবীর উন্মত্ত চুমুতে চেপ্টে গেছিলেন শোভন তা ছবিতেই পরিস্কার। তার সাথে পরিস্কার, পরিবারের একটি ছোট মেয়ে সে দৃশ্য দেখছে। এটাও কি শোভনীয়? এটাই যদি আগামী দিনে অন্যরা করে তাহলে সমাজ মেনে নেবে তো? তবে আর যাই হোক, বৈশাখী আর রত্না দেবীর এই রেষারেষিতে অনেকেই নিজেদের একটু বিনামূল্যে গরম করে নিলেন। এই রেষারেষি যদি আগামীতে আরো বেড়ে যায় তখন হয়তো আরো অনেক কিছু বা অনেক বেশী কিছু সাধারন মানুষ উপভোগ করতে পারবে। গিলতে পারবে সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে।