স্ফুলিঙ্গ ‘ বলে দিল সহানুভূতি নয়, দরদ নয়, স্রেফ চাই মানবিকতা ও সচেতনতা। অটিজিং অ্যাওয়ারনেস ডে তে ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে উন্মোচিত হল এক নতুন দিকও। নিউরো ডেভেলাপমেন্টাল ডিসঅর্ডার সম্পূর্ণ সহ নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনের স্রোতে ফেরাতে ক্রিয়ার সহযোগিতায় সন্তোষপুর আগন্তুক বেছে নিল নৃত্যকেই। সংস্থার পিয়ার এডুকেটর প্রখ্যাত কথক নৃত্যশিল্পী ও ড্যান্স থেরাপিস্ট টুসি নস্কর অটিজম শিশুদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তাঁর নৃত্যের মাধ্যমেই।
এদিনও কয়েকজন অটিজম কিশোরী কথক নৃত্যে অংশ নেন। তারা আজ আর মনে করে না, যে তারা বিশেষ। আর পাঁচজনের মতোই তারা এদিন দিবসটি নিজেদের আনন্দে পালন করল। অটিজম নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, আলোচনা করেন। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে অটিজম নিয়ে সমাজের, মা বাবাদের অজ্ঞতা ও ভয়ের বিষয়টি। সংস্থার ডিরেক্টর বিপ্রদাস ভট্টাচার্য বলেন, এই শিশুদের বুদ্ধি অনেক বেশি হয়। প্রচলিত পড়াশোনার পাশাপাশি এদের বিশেষ কিছু দক্ষতা থাকে। আমাদের সেই দিকে ফোকাস করতে হবে, তাহলেই হবে উত্তরণ। সংস্থার সভাপতি স্বর্ণালী পাল অটিজম মুক্তিতে কালার থেরাপি নিয়ে দীর্ঘ কাজ করেছেন। তাঁর মতে, যে কোনও জাতিগোষ্ঠী বা সামাজিক পটভূমির মানুষের মধ্যেই এই অসুবিধা দেখা দিতে পারে। জীবনধারার সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই।
অটিজম এর উপর নৃত্য নিয়ে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে টুসি নস্কর বলেন, অটিজম মুক্তিতে বিভিন্ন থেরাপির কথা শুনেছি, পড়াশোনা করেছি। আমি নাচটুকু নিয়ে থাকি। মনে হল, ওদের যদি নাচের মাধ্যমে স্বাভাবিক আনন্দে ফেরানো যায়। কারণ নাচটাও তো একটা অন্যতম থেরাপি হতে পারে। আমি সেই কাজটা করে যেতে চাই। অনুষ্ঠানের শেষে টুসি নস্করের একক নৃত্যে বোল পড়লেন প্রখ্যাত কথক শিল্পী সায়নী চাওড়া। এদিনের মঞ্চ থেকে উঠে এল লড়াকু শুভ্রনীলের কথা, যার অটিস্টিক আর্ট আজ সমাদৃত। উঠে এল রিসরার রুকুর কথা, যায় আঁকা ছবি ও কবিতার বই এখন আলোচনার বিষয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন প্রখ্যাত ভরতনাট্যম শিল্পী জলসা চন্দ্র। উপস্থিত ছিলেন বাচিক শিল্পী উজ্জ্বল ভট্টাচার্য।