পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ বাঙালি আজ বাংলা ভুলতে বসেছে। বাংলায় কথা বলতে লজ্জা পায় বেশিরভাগ বাঙালি। বাংলা গান বা বাংলা সিনেমা সে তো লোকেই দেখেই না। আর সাহিত্যের কথা তো ছেড়েই দেওয়া ভালো। সাহিত্য পড়া তো ছেড়েই দিয়েছে নতুন প্রজন্ম। সাহিত্যিকদের নামই বা জানে কজন? রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের নাম সকলেই জানে। কিন্তু পাঠ্য বইয়ের বাইরে রবিঠাকুরের লেখা কোন গল্প বা উপন্যাসের নাম বলতে পারবে এমন বাঙালি কটা মেলে আজকের দিনে?
ইজরাইলের তেল আভিভ এ একটি রাস্তার মাথায় রয়েছে ছোট্ট একটি সাইনবোর্ড। তাতে হিব্রু, আরবি এবং ইংরেজিতে লেখা আছে ‘হেরভ টেগর’। বাংলায় অনুবাদ করলে তার মানে দাঁড়ায় ‘টেগরের স্থান’। হ্যাঁ ইসরাইলের এই রাস্তা রবিঠাকুরের নামেই। ১৯৬১ সালে এই রাস্তার নামকরণ হয় রবিঠাকুরের নামে।
আমাদের বাংলায় যে কত শত শত বিশ্ব বরেণ্য মহাপুরুষ ছিলেন তা তো গুনে শেষ করা যায় না। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর এই বাংলার মানুষ হলেও তার খ্যাতি বিশ্বজোড়া। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে থাকা বাঙালিরা তার জন্মদিন নিজের মত উৎযাপন করে। শুধু বাঙালি নয় বিভিন্ন দেশ ও এই দিনটি উৎযাপন করে। ২৫ শে বৈশাখ রবিঠাকুরের জন্মদিন পালিত হয় কমবেশি সারা পৃথিবী জুড়েই।
২০২০ সালে রবিঠাকুরের ১৫৯ তম জন্মদিনে ইজরাইল এই রাস্তাটির ছবি টুইট করে পৃথিবীর সামনে নিয়ে আসে তথ্যটি। তার বয়ান ‘’ We honor Rabindranath Tagore today and everyday, as we named a street in Tel Aviv in memory of his valuable contribution to mankind.’’ ইজরাইল দূতাবাসের বয়ান অনুযায়ী এই অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ ছাত্রছাত্রীর বসবাস, রবীন্দ্র সাহিত্য দর্শন ইত্যাদির বিষয়ে তাদেরকে উৎসাহিত আগ্রহী করে তোলার জন্যই এই উদ্যোগ নেয় ইজরাইল সরকার। শুধু ইজরাইল নয় জাপান, আর্জেন্টিনা এবং ইংল্যান্ডেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত রাস্তা রয়েছে বলে জানা যায়।