পরাধীন ভারত থেকে স্বাধীন ভারতের চন্দ্রাভিযান পর্যন্ত বাঙালির কৃতিত্ব এর শেষ নেই । সম্ভবত দেশে এই একটি জাতিই সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের প্রতিভা বা কৃতিত্ব এর সাথে দেশের ও দশের নাম উজ্বল ও গর্বিত করেছে । কিন্তু সম্প্রতিক কালের রাজনৈতিক ওঠাপড়া ও প্রতিযোগিতা মূলক সংবাদ পরিবেশনার মধ্যে নব্য কৃতি বাঙালি দের কথা ঢাকা পড়ে যায়।
দ্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলস এবার সেই কৃতি বাঙালি দের কেই শ্রেষ্ঠ বাঙালি সম্মানে সম্মানিত । গত ১৭ই মার্চ , রবিবার কসবার “উদযাপন” ব্যাংকোয়েট এ হয়েগেল এই সম্মানিক অনুষ্ঠান । দশটি পৃথক বিভাগে, প্রথম দশেই উঠে এলো অনন্যা দাস মহাপাত্রের নাম । শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ।
সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে ছোট থেকেই অনন্যা ছিলেন অতি সাধারণ । সংগীত ও নৃত্যের প্রতি ছিল ভীষণ আকর্ষণ কিন্তু বাঙালি পরিবারের এই মেয়ে নিজেকে প্রতিষ্টিত করলো একেবারে অন্য জগতে যা ছিল সকলের কল্পনাতিত । করোনা কালের গৃহ বন্দী অবস্থায় ছাত্র ছাত্রী দের মনোরঞ্জনের সাথে কিভাবে কঠিন বিষয় গুলিকে সহজ করে শিখে নেওয়া যায় সেই পথ দেখাতে শুরু করলেন এনাবাকাস । গতকাল ২৪শে মার্চ করোনা কালের চার বছর অতিক্রান্ত হল,, আর মাত্র এই চার বছরেই তার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে । অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির থেকে কম খরচে ও সহজ পদ্ধতিতে গণিতের মতো কঠিন বিষয় খেলার ছলে শিখে ওঠার আনন্দে মাতোয়ারা ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও।
ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধার সাথে সাথে নতুন শিক্ষক শিক্ষিকা দের তালিম দিয়ে তৈরী করেছেন নতুন কাজের দিশা। সব মিলিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনন্যা দাস মহাপাত্রের এই ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বিশিষ্ট সমাজকর্মী অমরনাথ গুহ, প্যারানরমাল রিসারচার ডা উজ্বল গুপ্ত, রবীন্দ্রিক গবেষক সমীর শীল, বিশিষ্ট লেখক সাধন ভদ্র, আইনজীবি অর্পিতা ভট্টাচারজ , রবীন্দ্রনাথ রুপী সোমনাথ ভদ্র, সমাজকর্মী ও বাচিক শিল্পী পিয়ালী ঘোষ, সাহিত্যিক তুলিকা মজুমদার , সোমদেব ব্যানার্জী (অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ) এর পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ বাঙালির নামের তালিকায় নাম যুক্ত হল অনন্যা দাস মহাপাত্রের।
অনন্যা দাস মহাপাত্রের প্রতিক্রিয়া