সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সম্প্রতি দলের বিতর্কিত নেতাদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। বিশেষ করে, সুশান্ত ঘোষ ও কলতান দাশগুপ্তের মতো নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কহীনতা বজায় রাখার এই পদক্ষেপ কি শুধুই বিতর্ক এড়ানোর কৌশল, নাকি দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন?
সুশান্ত ঘোষ: বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু

সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দলীয় পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়। এই ঘটনা দলের অভ্যন্তরে ও বাইরে সমালোচনার ঝড় তোলে। দলের শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার প্রশ্নে এই পদক্ষেপ সিপিএমের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।
কলতান দাশগুপ্ত: ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্তকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। মহম্মদ সেলিম এই গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করে একে ‘অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, এই ঘটনা গণআন্দোলনকে বদনাম করার চেষ্টা।
সেলিমের নেতৃত্বে নতুন কৌশল

মহম্মদ সেলিম রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ভোটারদের আস্থা ফিরে পেতে তিনি উদ্যোগী। সেলিমের নেতৃত্বে সিপিএম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চায়, যা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল।
কৌশল নাকি প্রয়োজন?
সেলিমের বিতর্কিত নেতাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা কি শুধুই কৌশল? নাকি দলের নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এটি প্রয়োজন? সিপিএমের বর্তমান পরিস্থিতিতে, দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ও ভোটারদের আস্থা অর্জনে এই পদক্ষেপগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে, এটি সময়ই বলবে যে এই কৌশল কতটা সফল হবে।