দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে আর

Days
Hours
Minutes
Seconds

দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে আর

Days
Hours
Minutes
Seconds
Advertise your brand here -Contact 7603043747 (Call & Whatsapp)
Advertise your brand here -Contact 7603043747 (Call & Whatsapp)

১০৪ তম জন্মবার্ষিকী আগাম অনুষ্ঠিত হলো উত্তম মঞ্চে…

Table of Contents

Share Our Blog :

Facebook
WhatsApp

শোভন মল্লিক, কলকাতা: রবিবার অর্থাৎ ৩০শে এপ্রিল স্বর্ণযুগের গীতি নায়ক মান্না দে-এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হলো কলকাতার উত্তম মঞ্চে। হয়তো জন্ম বার্ষিকী বলাটা ভুল হবে, জন্মদিন বলাটাই শ্রেয় । তাঁর গান দিয়েই বলা যেতে পারে, “যদি কাগজে লেখো নাম কাগজ ছিঁড়ে যাবে , যদি পাথরে লেখ নাম পাথর ক্ষয়ে যাবে , যদি হৃদয়ে লেখ নাম সে নাম রয়ে যাবে” । সত্যিই তো তার নাম , তাঁর স্মৃতি সবই তো আমাদের হৃদয়ে লেখা। সেই কারণেই তো তিনি আমাদের মধ্যে না থেকেও রয়েছেন চিরকাল । এই ভাবেই তো তিনি সঙ্গীত জগতে আজীবন জীবিত রয়েছেন।

DEBASISH KUMAR

স্বর্ণযুগের এই গীতি নায়কের স্মৃতিচারণে এক জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল । সেই অনুষ্ঠানে তাঁর নানা গান সঙ্গে নানা স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় । এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তন্ময় কর । তিনি শুধুমাত্র সমাজসেবার সঙ্গেই নয়, তিনি প্রাইম এন্টারটেইনমেন্ট-ও পরিচালক ।

এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিশেষ নানান খ্যাতনামা গায়ক গায়িকা। যেমন – গৌরব সরকার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও অরিত্র দাসগুপ্ত। তার সাথে বিশেষ চমক হিসাবে, অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বাচিক শিল্পী শ্রী বসু । তাদের গানের সুরে এবং মন্ত্রমুগ্ধ-কর পরিচালনায় মেতে উঠেছিল উত্তম মঞ্চ। শুধু যে গানের সুরে এবং কথার স্রোতেই মানুষ ভেসে গিয়েছিল তা নয়। সঙ্গে নবনীর বৃদ্ধাশ্রম এর আবাসিকদেরও সম্বর্ধনা জানানো হয় । সঙ্গে আরও বেশ কিছু সমাজসেবামূলক কাজ দেখা গিয়েছে মান্না দে-এর জন্মদিন উদযাপনের শুরুতে। তাঁর মতো সুন্দর মনের মানুষের জন্মদিনে এমন সুন্দর কাজ না হলে তো তাঁর জন্মদিন সত্যিই অসম্পূর্ণ।

সঙ্গে আরও বেশ কিছু কলকাতার বিশিষ্ট মানিগুণী ব্যক্তিদের দেখা গিয়েছিল মঞ্চে। কলকাতা পৌরসভার এক বিশেষ ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি আমন্ত্রিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে । সঙ্গে সেখানকার পৌরপিতা এবং নানা সমাজ সেবা মূলক কাজের সাথে যুক্ত ব্যক্তিগণ এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন।

এইভাবে গানের ছন্দে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কথায় ভরে উঠেছিল উত্তম মঞ্চের পেক্ষাগৃহ। শনিবার বিকেলে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেও মান্না দে -কে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার টানে ছুটে এসেছিল দর্শকগণ। ৮ থেকে ৮০ সকল দর্শকেরই দেখা মিলেছিল সেখানে। এই ভাবেই চিরজন্ম হাজার টাকার ঝাড়বাতির মতোই স্বর্ণাক্ষরে জ্বলজ্বল করবে মান্না দে ও তাঁর সমস্ত গান।

More Related Articles

"টানা রিক্সা: কলকাতার ঘামে ভেজা এক শহরের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি"
সম্পাদকীয়
“টানা রিক্সা: কলকাতার ঘামে ভেজা এক শহরের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি”

“টানা রিক্সা একসময় ছিল কলকাতার নাড়ির স্পন্দন। আজ তা হারিয়ে যেতে বসেছে। এই কাহিনিতে উঠে এল এক শহরের মানবিকতার, লড়াইয়ের আর পরিবর্তনের ছায়াছবি।”

Read More »
ভোটার তালিকাই এবার যুদ্ধক্ষেত্র! অনুপ্রবেশ বিতর্কে মমতার হুঙ্কার: "বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস চলছে"
সংবাদ ও রাজনীতি
ভোটার তালিকাই এবার যুদ্ধক্ষেত্র! অনুপ্রবেশ বিতর্কে মমতার হুঙ্কার: “বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস চলছে”

২১ জুলাইয়ের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিলেন—২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ‘আসল লড়াই’ হবে ভোটার তালিকা ঘিরে। অনুপ্রবেশ বিতর্কে বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে বাংলাভাষা ও পরিচয়ের রাজনীতি সামনে আনলেন তৃণমূল নেত্রী।

Read More »
“জয় বাংলা’ কাঁপাবে দিল্লি, ২০২৬-র পর বিজেপিকে বলাব ‘জয় বাংলা’: ধর্মতলায় হুঁশিয়ারি অভিষেকের”
সংবাদ ও রাজনীতি
“জয় বাংলা’ কাঁপাবে দিল্লি, ২০২৬-র পর বিজেপিকে বলাব ‘জয় বাংলা’: ধর্মতলায় হুঁশিয়ারি অভিষেকের”

২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বিস্ফোরক ভাষণে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, বাংলার সংস্কৃতিকে যারা তাচ্ছিল্য করে, তাদের জবাব ২০২৬-এর নির্বাচনে মিলবে। দিল্লি কাঁপাতে ‘জয় বাংলা’র ডাক, হুঁশিয়ারি পদ্মফুল উপড়ে ফেলারও।

Read More »
সংবাদ ও রাজনীতি
“বাংলার ভাষায় কথা বললে গ্রেফতার? এবার দিল্লিতেই হবে লড়াই”: শহিদ মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি মমতার

২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ ছিল স্পষ্ট এবং আগুনঝরা। ‘বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ চললে ছাড়বে না’, জানিয়ে তিনি ঘোষণা করলেন ২৭ জুলাই থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হবে নতুন ভাষা আন্দোলন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি বিজেপির ‘বাংলাবিদ্বেষী রাজনীতি’ ও ‘গ্রেপ্তার আতঙ্ক’ নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।

Read More »
"ট্রামের ঘণ্টিতে ঘুম ভাঙতো কলকাতা – হারিয়ে যাওয়া এক শহরের সুর"
সম্পাদকীয়
“ট্রামের ঘণ্টিতে ঘুম ভাঙতো কলকাতা – হারিয়ে যাওয়া এক শহরের সুর”

“ট্রামের ঘণ্টিতে ঘুম ভাঙতো কলকাতা – হারিয়ে যাওয়া এক শহরের সুর”
একটা সময় কলকাতার সকাল মানেই ছিল ট্রামের টুংটাং আওয়াজ। সেই ধীর গতি, কাঠের সিট, আর কনডাক্টরের ঝনঝনে টিকিট ব্যাগ—এ সবই ছিল শহরের ছন্দের অংশ। সময়ের সাথে সব বদলে গেলেও হারিয়ে যাওয়া এই ট্রাম আজও বেঁচে আছে স্মৃতির শহরে।

Read More »
"সিঙারা-সীতাভোগের সুগন্ধে মোড়া এক শতাব্দীর গল্প—চিরতরে থেমে গেল ‘দেশবন্ধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’-এর পদচারণা!"
সম্পাদকীয়
“সিঙারা-সীতাভোগের সুগন্ধে মোড়া এক শতাব্দীর গল্প—চিরতরে থেমে গেল ‘দেশবন্ধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’-এর পদচারণা!”

একটা সময় ছিল, যখন হাওড়া ব্রিজ থেকে নামলেই ঘিয়ের গন্ধে মন ভরে যেত। আজ সেই ‘দেশবন্ধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’ শুধুই স্মৃতি। এক শতাব্দীর ইতিহাসের ইতি টেনে চুপিচুপি হারিয়ে গেল কলকাতার মিষ্টির কিংবদন্তি ঠিকানা।

Read More »
error: Content is protected !!