রসুলপুর, ১০ জানুয়ারি ২০২৩: পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুরে তিরুপতি হিমঘরে ২৫টি গ্রামের আলু চাষিদের আলু সংরক্ষিত থাকার পরেও তা পচে নষ্ট হয়েছে। অথচ এই ঘটনায় চাষিরা কোনোরকম ক্ষতিপূরণ পাননি। এরই প্রতিবাদে রসুলপুর কৃষি সংহতি মঞ্চ সোমবার দুপুরে ব্যাপক প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল। এদিন তিরুপতি কোল্ড স্টোরেজের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে রসুলপুর কৃষক সংহতি মঞ্চের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয় রসুলপুর স্টেশনের অভিমুখে। সেখানেই একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই সভায়, কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বক্তব্য রাখেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং জয় কিষাণ আন্দোলনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভীক সাহা। তিনি বলেন, “রাস্তা আমরা অবরোধ করব না। কারণ সাধারণ মানুষ এই আন্দোলনের সঙ্গে আছে। কৃষকের পাশে আছে। আমি ভারতবর্ষের কোথাও উচ্চ-মধ্যবিত্ত ছাড়া কাউকে কৃষকের বিরোধিতা করতে দেখিনি। পশ্চিমবঙ্গে যদি কোথাও কৃষক আন্দোলন দাঁড়াতে পারে, সেটা হচ্ছে রসুলপুর”। এছাড়াও বক্তব্য রেখেছেন কৃষক-ক্ষেতমজুর সংহতি সমিতির নেতৃত্ব সমীর পূততুণ্ড, রসুলপুর কৃষক সংহতি মঞ্চের সভাপতি সদানন্দ মণ্ডল, জয় কিষাণ আন্দোলনের রাজ্য সহ-সভাপতি কল্যাণ সেনগুপ্ত, জয় কিষাণ আন্দোলনের হুগলি জেলা সভাপতি সুশান্ত কাঁড়ি ও জয় কিষাণ আন্দোলনের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি ননী রায়।
এই জনসভা থেকে দাবি ওঠে, হিমঘরে আলু পচিয়ে নষ্ট করার ব্যাপারে হিমঘর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। রাজ্য সরকার ও প্রশাসন যদি এই ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ না করে, তা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না ক্ষতিপূরণ পাবে চাষিরা, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে রসুলপুর কৃষক সংহতি মঞ্চের তরফে। প্রায় ৫০০ মানুষ এদিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন।