বাংলা তথা কলকাতা এখন কোটি কোটি টাকার সাম্রাজ্য। প্রতিদিনই মানুষ ব্রেকিং নিউজে চমকে উঠছে, যখন জানতে পারছে তার পাশের ফ্লাটেই ছিল কোটি কোটি টাকা নগদ। বলা বাহুল্য এখন বন্ধ ফ্ল্যাট গুলিই হয়ে উঠেছে গসিপের আকর্ষণীয় বিষয়। কার যে কোথা থেকে কোটি কোটি টাকা বেরোচ্ছে তা বোঝা দায়। কিন্তু এবার সেই কোটির তালিকায় নাম জুড়ে গেল কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত মৃৎশিল্পীদের। কুমারটুলী।
হ্যা ঠিকই পড়েছেন। আমরা অনেকেই ইদানিং কালে ছবি তোলার নেশায় বা কৌতূহল বশত পুজোর সময় কুমারটুলী তে ঘোরাঘুরি করি। সেখানে দেখতে পাই বহু শিল্পী চুপচাপ তাদের কাজ করে চলেছেন কাদা মাটি নিয়ে। চেহারা পোষাক মলিন। কোথাও কোন চাকচিক্য নেই। কাদা মাটির ঘিঞ্জি গলির মধ্যেই প্রায় ৬০০ জন মৃৎশিল্পী ও তাদের পরিবার যুগান্তর ধরে এখানেই বসবাস করে প্রতিমা তৈরী করে চলেছেন। যদিও এদের মধ্যে অনেকেই কলকাতার অন্যত্র তাদের স্টুডিও তৈরী করলেও এই মূল জায়গা ছেড়ে কেউই যেতে চান না। শোনাযায়, কলকাতা তৈরীর সময় থেকেই এখানে এই মৃৎশিল্পীদের বসতি। প্রথমে তারা মাটির বাসন তৈরী করতেন। পরবর্তীকালে সময়ের সাথে সাথে তারা এখন শুধুমাত্র মাটি দিয়েই প্রতিমা তৈরী করেন না, ফাইভার গ্লাস দিয়ে তৈরী করেন নানান শিল্প কর্ম যা দেশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
দু দুটো বছর করোনা কালের পর বাঙালির আবেগের দুর্গাপুজো এবার ছিল একটু অন্যরকম। নিয়মের বাধা নিষেধ হীন এই পুজোয় বাংলার মানুষ হয়েছিল আত্মহারা। যদিও এই পুজো নিয়েও কম ছিলনা রাজনৈতিক তরজা। তার পরেও কলকাতার দুর্গা পুজো সম্মন্বয় গোষ্ঠী ফোরাম ফর দূরগোৎসব জানায় এ বছর শুধুমাত্র দুর্গা পুজোতেই কলকাতায় ৫০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে যার ফলে আর্থিক ভাবে উপকৃত হয়েছেন দুর্গা পুজোর সাথে সম্পর্কিত শিল্পী থেকে বহু মানুষ। সেখানে কেনই বা পিছিয়ে থাকবে কুমারটুলী?
পশ্চিমবঙ্গের ৪৫ হাজার অনুমদিত দুর্গা পুজো কমিটির সাথে সাথে বেড়েছে গনেশ, লক্ষী, কালী ও জগধাত্রী পুজোর সংখ্যাও বেড়েছে সমান ভাবে, করোনা কালের পরেই। যেখানে শুধু ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে দুর্গা পুজো কে কেন্দ্র করে আর বাকি ৫০ কোটি অন্য পুজো গুলি থেকে।