আবার চিনে বাড়বাড়ন্ত করোনার। এবার BF-7 ভাইরাসের আক্রমণ। ইতিমধ্যেই চিনে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েগেছে। বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যাচ্ছে, চিনের মৃতদেহ সৎকার কেন্দ্র গুলিতে লাইন পড়েগেছে এবং অনবরত সৎকার চুঙি থেকে কালো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর ও ভয়াবহ তথ্য হল চিনের বেশীর ভাগ চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক ও অনান্য চিকিৎসা কর্মীরা বেশির ভাগই করোনায় আক্রান্ত। তারা চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরে বেরোচ্ছেন না। হাসপাতালের বাইরে পর্যন্ত রোগীদের স্থান ধিতে হয়েছে। সঠিক চিকিৎসা না পাবার জন্য বাধছে নানান হিংসাত্মক ঘটনা। ক্ষোভ উগরে উঠছে চিনা নাগরিক দের।
ভারতেও এই মুহুর্তে কেন্দ্রীয় সরকার করোনার এই BF-7 ভাইরাস নিয়ে যথেষ্ট উদিগ্ন। গতকাল থেকেই বারং বার করোনার বর্তমান পরিস্থিতি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ নিয়ে চলছে আলোচনা। এরই মধ্যে ভারতেও ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন BF-7 ভাইরাসে আক্রান্ত করোনা রোগী। সংক্রমন রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার আজ ছাড়পত্র দিলেন ন্যাজালড্রপের প্রতিষেধকে। আজ সন্ধ্যা থেকেই কোউইন অ্যাপে বুক করা যাবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্র দপ্তর। কিন্তু এই ন্যাজালড্রপ নিতে হবে বেসরকারি হাসপাতাল থেকেই। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ কে টাকা খরচা করেই কিনতে হবে। তবে দাম কতো হবে তা এখুনি জানা যায় নি।
কেন এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন? কাদের জন্য?
প্রথমত এই ন্যাজালড্রপের পরীক্ষা হয়েছিল কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে এবং সেখানেও ফলাফল ছিল বেশ ইতিবাচক কিন্তু তখন এই ন্যাজালড্রপ কে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। পরবর্তীকালে ইঞ্জেকশন ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অনেকের ভীতি ও অনেকের অবহেলার কারনে এবার এই ন্যাজাল ড্রপ ভ্যাকসিন কে ছাড় দেওয়া হল। তবে এবারও এই দু-ফোটা ন্যাজাল ড্রপ দেওয়া হবে ১৮ বছর থেকেই। যদিও এখনো শিশু ও কিশোরদের এই ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন হয়নি।
সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আজ সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এই বিষয়ে মিটিংয়ে বসবেন সব রাজ্যের স্বাস্থ্য আধীকারিকদের সাথে।