নতুন পরিচালক দের অভিযোগ তারা হল পাচ্ছেন না । অথচ কেউ এটা ভাবছে না আজ কলকাতায় ৮০০ সিনেমা হল বন্ধ হতে হতে ২০০ তে গিয়ে ঠেকেছে । সবাই OTT মুখি , তাই হলের বদলে মলে গিয়ে সিনেমার টিকিট কেটে ভিখারি হবার আগে জেনে নিন রিভিউ ।
কেমন হল রাজ চক্রবর্তীর ”ধর্মযুদ্ধ” ? রিভিউ রিপোর্ট এ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ।
দু বছর ধরে করোনা অতিমারীর কারনে বহু সিনেমা মুক্তি পায়নি। মুক্তির সময় পিছিয়েছে। আর এর মধ্যেই একটি অন্যতম সিনেমা হলো রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ধর্মযুদ্ধ। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও আমরা ধর্মের বেড়াজাল থেকে আজও স্বাধীন হতে পারিনি। আর বলতে দ্বিধা নেই এই যুদ্ধ শুধু ধর্মের না বরং মানুষের সাথে মানুষের। ধর্ম শুধুমাত্র একটা উপলক্ষ। এই সিনেমা ভালো কি খারাপ সে বিষয় কোন কথা বলবো না তবে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই ধরনের সিনেমার খুব দরকার ছিল। তাই নিঃসন্দেহে এটি রাজ চক্রবর্তীর অন্যতম একটি সাহসী পদক্ষেপ।
এই সিনেমার বেশ কিছু ডায়লগ মনকে নাড়া দিয়ে যাবে যেমন সিনেমার একটি জায়গায় স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত বলবে এই ভাবে লড়াই চলতে থাকলে পৃথিবীতে আর মানুষ থাকবেনা থাকবে শুধু মন্দির আর মসজিদ আর অন্য একটি জায়গায় শুভশ্রী গাঙ্গুলী বলছে হিন্দু মুসলিম কে মারতে চায় মুসলিম হিন্দু কে আমি কাকে মারি মা ? সত্যিই তো আমাদের পরিচয় কি শুধু ধর্মের দাঁড়াই নিয়ন্ত্রিত হবে সারাজীবন ? নাকি বাস্তবে ধর্ম আমাদের না আমরাই ধর্মকে নিয়ন্ত্রন করছি ?
না এর উত্তর আমার মতো হয়তো বহু মানুষের কাছেই নেই যেদিন এর উত্তর থাকবে সেদিন হয়তো পৃথিবীতে আর কোন দাঙ্গা হবেনা মন্দির, মসজিদ নিয়ে লড়াই হবেনা ধর্মের নামে সুড়সুড়ি দিয়ে রাজনীতি হবেনা। আমরাও অপেক্ষা করবো তেমন একটি দিনের। সেদিনই হয়তো এরম সিনেমা সত্যিকারের সাফল্য পাবে। যেভাবে সিনেমার বহু জায়গায় আমরা দেখেছি ধর্মকে ভুলে মানুষ একে অপরের সাহায্য করছে ঠিক তেমনি। আর এই সিনেমায় প্রত্যেকের অভিনয় নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই বিশেষ করে ঋত্বিক চক্রবর্তী , স্বতীলেখা সেনগুপ্ত , পার্নো মিত্র।
ধর্মের নামে যারা আজও গোঁড়ামি করে তাদের অনেকেই হয়তো এই সিনেমাকে “বয়কট” করবে যে ট্রেন্ড টা এখন বহু সিনেমাতেই দেখা যাচ্ছে। এবং বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন ইতিমধ্যেই এই সিনেমাকে বয়কটের হুমকিও দিয়েছে। এবং যার ফলে হয়তো কোন মুসলিম সংগঠন ও এই সিনেমাকে বয়কটের হুমকি দিতেই পারে। এর ফলে গিয়ে একটি ভাল সিনেমা বা বলা ভালো শিক্ষা মূলক সিনেমা দেখা থেকে মানুষ বঞ্চিত হবে। আর তারপর আবারও শুরু হবে ধর্মকে নিয়ে কিছু রাজনৈতিক নেতার নোংরা রাজনীতি। তবে যারা ধর্ম ভুলে হিন্দু মুসলিম ভুলে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখে কিছু শেখার চেষ্টা করবে তাদের কুর্ণিশ। কারন মনুষ্যত্বটাই আসল। আমাদের প্রধান পরিচয় আমরা মানুষ ধর্ম নয়। ধর্মযুদ্ধের পুরো টিমকে The Indian Chronicles এর তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা রইলো। আসা করি তাদের সিনেমা বহু মানুষের মন কে পরিবর্তন করবে।
The Indian Chronicles এর পাশে থাকুন সাথে থাকুন। বিনোদন এর আরেক নাম The Indian Chronicles .