সামান্য বাঁশের খুঁটি, কিন্তু তাকেই ধুমধাম করে মহাসমারোহের সাথে পুজো করা হয়।
এই খুঁটি পুজো উৎসব কবে থেকে শুরু বা এর সূচনা কাহিনী নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। পুরাণে সেভাবে এই পুজো নিয়ে কোন বর্ণনা নেই। শাস্ত্রে খুঁটির কথা উল্লেখ না থাকলেও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন স্থানে খুঁটিকে ইন্দ্র জ্ঞানে পূজা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এখানকার গ্রামবাসীরা মনে করেন, খুঁটির মধ্যে স্বয়ং ইন্দ্রদেব বসবাস করছেন। তাই খুঁটিকে আরাধনা করা মানে ইন্দ্রদেবকে আরাধনা করা। তাই তাঁরা অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে নানান নৈবেদ্যের ডালি সাজিয়ে দেন খুঁটির সামনে।খুঁটির এই পুজোতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্রিত হন।
আপামর বাঙালির কাছে খুঁটি পুজো মানেই কিন্তু মা দুর্গার আবাহন। এই পুজো আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয় দেবী দুর্গার জন্য অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। ঐতিহ্যশালী বনেদি পরিবার থেকে শুরু করে ছোটো বড় সমস্ত ক্লাবগুলিতে প্রতিবছর আড়ম্বরের সহিত খুঁটি পুজো করা হয়।
আজ ৬ই জুলাই আমাদের টিম পৌঁছে গিয়েছিলো মধ্য কলকাতার অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী Md. Ali Park-এর ৫৪ তম বর্ষের খুঁটিপুজো উৎসবের সাক্ষী হতে।
প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরেও থিম পূজায় রয়েছে নতুন চমক। থিমের বিষয়বস্তু নিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবেই মুখ না খুললেও তারা তাদের চিন্তা ভাবনা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। করোনামহামারীকে পেছনে ফেলে ৮ থেকে ৮০ সকলের সাথে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে প্রস্তুত ক্লাব কর্তৃপক্ষের সকলেই।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিশিষ্ট অতিথিরা আসতে না পারলেও উৎসবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলার শ্রীমতি রেহানা খাতুন মহাশয়া ।
https://youtu.be/wbkeXjRwnEM