দেব এন্টারটেইনভেন্ট ভেঞ্চারসে গতকাল হয়েগেল নতুন বাংলা ছবি “নটি বিনোদিনী-র শুভ মহোরৎ। গত বছরই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রী রুক্মিনীর ছবি ভাইরাল হয়েছিল নটি বিনোদিনীর চরিত্রে। এবার শুটিং শুরু হতে চলেছে, নটি বিনোদিনীর এই পুরাতনী জীবন কাহিনীর।
ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় মাত্র বারো বছর বয়সে বিনোদিনী দাসী, পতিতাপল্লীর পরিবেশ ত্যাগ করে অভিনয় জীবনে আসেন। নাচে গানে পারদর্শী বিনোদিনীর প্রথম অভিনয়ের পারিশ্রমিক ছিল সেই সময় ১০টাকা। খুব বেশীদিন লাগেনি তার প্রথম শ্রেনীর অভিনেত্রী হয়ে উঠতে। পৌরানিক, সামাজিক ও অনান্য চরিত্রে অভিনয় করে সেই সময় তিনি ছিলেন খ্যাতির শীর্ষে।
গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারের মালিক ছিলেন একজন অবাঙ্গালী ব্যবসায়ী প্রতাপচাঁদ জহুরী, যিনি থিয়েটারকে ব্যবসা হিসেবেই দেখতেন। তাই তার অধীনে কাজ করা গিরিশ ঘোষ এবং বিনোদিনী কারও পক্ষেই সহজ ছিল না। থিয়েটার গড়ে তোলার জন্য যে রকম টাকা পয়সা দরকার ছিলো, তা গিরিশ ঘোষের ছিল না। একজন ২০-২১ বছরের ব্যবসায়ী গুরমুখ রায় অর্থ সাহায্য প্রদান করেন। থিয়েটারের চেয়ে তার বিনোদিনীর প্রতিই বেশি আকর্ষণ ছিল। গুরমুখ রায় বিনোদিনীকে ৫০ হাজার টাকায় কিনে নিতে চেয়েছিল যাতে সে অভিনয় ছেড়ে দেয়। বিনোদিনী আংশিক রাজী হন সে প্রস্তাবে কারণ তিনি অভিনয় ছাড়তে রাজী ছিলেন না। গুরমুখ রায়ের রক্ষিতা হন বিনোদিনী। এই ঘটনায় তার পূর্ববর্তী মালিক ধনী জমিদার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং তিনি লাঠিয়াল দিয়ে নতুন থিয়েটার ভেঙ্গে দিতে চেষ্টা করেন। সেই ধনী জমিদার তলোয়ার হাতে বিনোদিনীর শোবার ঘরে প্রবেশ করে তাকে খুন করতে উদ্যত হন। কিন্তু বিনোদিনী উপস্থিত বুদ্ধির জোরে সে যাত্রা বেঁচে যান।
নটি বিনোদিনীর এই জীবনী আবার নতুন করে বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকরা দেখতে পাবেন।
রুক্মিনী ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে একাধিক নামী অভিনেতা দের। গিরিশ চন্দ্র ঘোষের ভূমিকায় দেখা যাবে কৌশিক গাঙ্গুলী কে। রাঙাবাবু-র চরিত্রে দেখা যাবে বলিউড অভিনেতা রাহুল বোস কে। বাংলা ও বাঙালীর প্রিয় সঞ্চালক মীর কে দেখা যাবে গুর্মূখ রায়ের চরিত্রে এবং কুমার বাহাদুরের চরিত্রে দেখা যাবে রঙ্গবতী খ্যাত ওম সাহানী কে।
আপাতত রুক্মিনী, বিনোদিনীর চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সুদিপ্তা চক্রবর্তীর কাছে। সুতরাং বলা যেতেই পারে বাংলা ও বাঙালি খুব তাড়াতাড়ি একটি দারুন নষ্টালজিক গল্পের ব্লকবাস্টার পেতে চলেছে।