সারাংশঃ
তিতাস, বর্ষা, হৈ আর রনিতা ছোটবেলা থেকেই বন্ধু৷ মফঃস্বলের জল হাওয়ায় বড় হয়ে ওঠা চারজন সাধারণ মেয়ে যাদের ছোটবেলা থেকে পরিবার, সমাজ, সকলে অলক্ষ্মী বলে ডেকেছে। ওদের দস্যিপনা স্কুল পেরিয়ে কলেজ এবং তারও পরে সকলের কাছেই ছিল প্রসিদ্ধ। দেশের আপামর বলিউড প্রেমীদের মত ওরাও দিল চাহতা হ্যায় দেখে ঠিক করেছিল বড় হয়ে তিতাসের ব্যাচেলারেটে গোয়া যাবে৷
ঠিক কুড়ি বছর পরে তিতাসের যখন অবশেষে বিয়ে ঠিক হয়ে যায়, তখন সবাই মিলে সেই প্ল্যানটা করেই ফেলে। বহু অপেক্ষার গোয়ার ট্রিপ। চারজন অভিন্নহৃদয় বন্ধু প্ল্যানমাফিক গোয়ায় গিয়ে পৌঁছলেও শুরু থেকেই দেখা যায় একের পর এক বিপত্তি। প্রথমেই গোয়ায় গিয়ে রনিতার স্বামী সেলিব্রিটি রাজনীতিক অর্পণের সঙ্গে ঝামেলার চোটে হোটেল ছাড়া হয়ে পড়ে ওরা। তারপর তাদের ভিলাতেই এক আচমকা মৃত্যুতে তাদের জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ বিপদ। মৃতদেহ নিয়ে কী করবে কোথায় যাবে বুঝে উঠতে পারে না। অন্যদিকে গোয়ার ফেরারী আসামী আন্ডারটেকারের খোঁজে সক্রিয় হয়ে ওঠা পুলিশও জড়িয়ে পড়ে তাদের সঙ্গে। পরতে পরতে বদলে যেতে থাকে গল্পের প্রতিটি অধ্যায়৷
শেষমেশ অলক্ষ্মীরা, অর্থাৎ তিতাস, রনিতা, হৈ এবং বর্ষা, পারবে কি এইসমস্ত সঙ্কট কাটিয়ে বেরিয়ে এসে তাদের বন্ধুত্বের রি ইউনিয়ন উদযাপন করতে? ওরা কি আদৌ ফিরতে পারবে কলকাতায়, আপনজনেদের কাছে?
ডার্ক কমেডির মোড়কে নির্মিত ‘ অলক্ষ্মীজ ইন গোয়া’ য় রয়েছে এইসবেরই উত্তর।সংলাপঃ সৌমিত দেব
পরিচালক Joydip Banerjee জানালেন:
“৫ বছর আগে ভাবা একটা গল্প, ২ বছর ধরে যেটা আমি বানানোর চেষ্টা করছি, সেই সুবাদে যতদিক দিয়ে যতরকম বাধা আসতে পারে, সেই সবই এসেছে.. এবং সমস্তটা পেরিয়ে সিরিজটা অবশেষে আগামী মাসে পর্দায় আসতে চলেছে। ফলে আমি আপাতত খুবই স্বস্তিতে এবং একইসাথে ভীষণ উত্তেজিত।”
And as far as the girl gang is concerned:
“আমাদের অলক্ষীরা পর্দার সামনে এবং পেছনে একইরকম প্রভাবশালী। টলিউডের পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে অনেক কথা হয়, আমাদের সেটে কিন্তু পুরোদস্তুর মাতৃতন্ত্র চলেছে!”