আমরা সবাই কলকাতার দুর্গাপুজো, বারাসাত ও মধ্যমগ্রামের কালীপুজো আর চন্দন নগরের জগদ্ধাত্রী পুজো বিশ্ব বিখ্যাত বলেই জানি। কিন্তু আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে এমন একটি গ্রাম যেখান কার লক্ষী পুজোর জাঁকজমক পাল্লাদিতে পারে দুর্গা কালী ও জগদ্ধাত্রী পুজো কেও। টানা তিন দিন ধরে চলে এখানে লক্ষীপুজো। ইতিমধ্যেই এই গ্রামে জোর কদমে এগিয়ে চলেছে লক্ষীপুজোর প্রস্তুতি।
এই গ্রামটি হাওড়া আমতার জয়পুরের খালনা গ্রামে। এই গ্রামে বসবাসকারী প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বেশির ভাগ পরিবারেই এই পুজো হয়ে আসছে প্রায় শতাধিক বছর ধরে। পারিবারিক পুজোর সাথে সাথে হয় বারোয়ারি পুজো যার সংখ্যা নেহাত কম নয়। অবাক করা বিষয় হল এই বারোয়ারি লক্ষী পুজো গুলির বাজেট ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা অবধী যায়।
বিগত ২ বছর করোনা মহামারীতেও এই পুজো কোন ভাবেই জৌলুস হারায়নি। সব মিলিয়ে এখানে পুজোর সংখ্যা ১৫০ এর বেশী যা একেবারেই যা হোক করে নয়, যথারীতি থিম করেই এই পুজোর আয়োজন হয়। আর এই তিনদিন এখান কার মানুষ কলকাতার দুর্গা পুজোর মতোই আনন্দে মেতে ওঠেন। নতুন পোষাক, খাওয়া দাওয়া, গান বাজনার আসর, মন্ডপে মন্ডপে ঠাকুর দেখা সবই হয়। হয় প্রতিমা ও মন্ডপের মধ্যে প্রতিযোগিতা।
এই গ্রামের মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি, তাই অধিক ফলনের আশায় শতাধিক বছর ধরে বংশ পরম্পরায় এই পুজো করে আসছেন।
দশমীর পর থেকেই চুড়ান্ত পর্বে পুজোর আয়জনে মত্ত এখানকার চারুময়ী লক্ষীতলা, কৃষ্ণরায়তলা, খালনা বাজার আমরা সবাই, বারুইপাড়া মিলন সংঘ, ক্ষুদিরামতলা সর্বজনীন, আনন্দময়ী তরুন সংঘের মত বারোয়ারি পুজো কমিটি গুলি।
চাইলে একদিন ঘুরে আসতেই পারেন এই গ্রাম থেকে। দেখে আসতে পারেন এই বিখ্যাত লক্ষী পুজো।