গতকাল, বাগুইআটির দেবজ্যোতি রায় ( পেশায় – আইনজীবী ) হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এবার নিয়ে অষ্টম বার ( হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক তিন বারেরও বেশী হতে পারে যা অনেকেরই অজানা )। দেবজ্যোতি বাবুর দুই প্রতিবেশী ও সমাজকর্মী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য্য ও শ্যাম সুন্দর ঘোষ দুজনে মিলে, মরোনাপন্ন দেবজ্যোতি বাবুকে সঙ্কটজনক অবস্থায় গাড়ি করে এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন এবং সেই সময় তারা কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের থেকে সাহায্যে চান। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ তৎক্ষনাত দ্রুত গ্রীন করিডর ব্যাবস্থা করে দেন যাতে দেবজ্যোতি দ্রুত এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। এদিকে দেবজ্যোতি বাবুর গাড়ির ভিতরেই আবার হার্ট অ্যাটাক হয়।
এদিকে দেবজ্যোতি বাবুর অতি সঙ্কট জনক অবস্থায় এস এস কে এম হাসপাতাল কতৃপক্ষ বেড না থাকার কারনে রোগী কে ফিরিয়ে দেন। সেই সময় সমাজকর্মী শ্যাম সুন্দর ঘোষ, রোগীর প্রান বাঁচাতে সেই গাড়িতেই রোগী কে নিয়ে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে রওনা দেবার চেষ্টা করেন এবং আবারও কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা ও সাহায্য প্রার্থনা করেন। এবারও কলকাতা পুলিশ অভূতপূর্ব সাহায্য করেন। এস এস কে এম হাসপাতাল থেকে, রেড রোড ধরে এসপ্ল্যানেড হয়ে সোজা শোভাবাজার হয়ে শ্যামবাজার থেকে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অবধি গ্রীন চ্যানেল করে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেদেন। দেবজ্যোতি বাবু এখন চিকিৎসাধীন। কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা ট্রাফিক পুলেশের এই অভূতপূর্ব সাহায্যের ফলেই গতকাল বেঁচে গেল একজন সাধারণ নাগরিকের প্রান।
দ্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলস্ কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ তথা বাগুইআটির উপলব্ধি সমাজসেবামূলক সংগঠনের এই অভূতপূর্ব অবদান কে কূর্নিশ জানায়। আমরা আশাবাদী আগামী দিনে সাধারণ নাগরিকদের পাশে এভাবেই থাকবেন আমাদের কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ।