বাঙালির রসনা তৃপ্তি তে সবার আগে যে খাবারের নাম আসে তা হল বিরিয়ানি। বাঙালির এই বিরিয়ানি প্রেম আজকের নয়।
ঠিক সিপাহি বিদ্রোহের আগে ৬ মে ১৮৫৬ সালে লখনউয়ের নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ কলকাতা এসে পৌঁছালেন। আসলে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তাই তিনি চেয়েছিলেন কলকাতা হয়ে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন রানির কাছে আবেদনের জন্য। কিন্তু নির্মম পরিহাস, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁর লন্ডন যাওয়া হল না। তাই তিনি কলকাতার মেটিয়াবুরুজে পাকাপাকিভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিলেন। এতে অবশ্য কলকাতাবাসীর শাপে বর হল। তা না হলে হয়ত কলকাতাবসীর বিরিয়ানির খাওয়ার স্বাদ মিটত না।
সেই থেকেই বাঙালি একবার যদি লাল কাপড়ে মোড়া হাড়ি দেখতে পায়, ব্যাস আর রক্ষে নেই।
কলকাতা বাসীকে বিরিয়ানি ও কাবাব সহ রসনা তৃপ্ত করতেই বহুদিন ধরেই রয়েছে ” আরসালান”। পার্ক সার্কাসে প্রথম রেস্তেরাঁ হলেও বর্তমানে “আরসালান” কলকাতার প্রায় সর্বত্র খুলে ফেলেছে তাদের শাখা। উদ্বোধন করলেন পানিহাটির বিধায়ক তৃনমূল নেতা মদন মিত্র।
কয়েক মাস আগেই পানিহাটি তে আরসালানের একটি শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। কিন্তু কয়েক মাসেই এত চাহিদা দেখে আরসালান এবার পানিহাটি তেই আবারও তার আরও একটি শাখা উদ্বোধন করলেন। যদিও এই শাখাটি আগেরটির থেকে পরিসরে বেশ বড়।
তাই এই পুজোতে বাঙালির বিরিয়ানি আর কাবাবে ডুবে থাকতে আর কোন অসুবিধা নেই।