বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দূর্নীতি প্রসঙ্গে রায়দান করে খবরের শিরোনামে এসেছেন হাইকোর্টের একাধিক বিচারপতি। বর্তমান রাজ্য সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে এই সব বিচারপতিদের বেশ কিছু কঠিন রায়দানে খুশি রাজ্যবাসী। অনেকেই এই সব বিচারপতি তে ভগবান বলেই মনেকরেন। ফলত এই সব বিচারপতিদের প্রতি রাজ্য সরকারের অভিমান বা ক্ষোভ কম থাকেনা।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায়দানে বিচারপতিদের মধ্যে সব থেকে বেশী যার নাম উঠে এসেছিল তিনি হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। ফলত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রী বা প্রবক্তারা বারং বার বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ে কে বাক্যবান নিক্ষেপ করেছিলেন পরবর্তীকালে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় একটি বেসরকারী বাংলা টিভি চ্যানেলে বর্তমান শাষক দলের বিশিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে সাক্ষাতকার দেওয়া কে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করে রাজ্যের শাষক দল। সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় ক্ষমতা খর্ব করেন।। এরপরেই যাবতীয় মামলার রায়দানের দায়িত্ব পান হাইকোর্টের অন্যতম বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
কিন্তু বিচারপতি অমৃতা সিনহাও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ কে রেহাই দেননি। বরং রাজ্য সরকারের অন্যতম সুপ্রিমো অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কেও বেশ কয়েকবার চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। এছাড়া বিগত পঞ্চায়েত ভোটে শাষকদলের যাবতীয় দূর্নীতির অভিযোগ গুলির ওপরেও বেশ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন। এবার গুরুতর অভিযোগ উঠলো এই বিচারপতি অর্থাৎ অমৃতা সিনহার বিরুদ্ধে।
সামাজিক মাধ্যমে জনৈক শাষকদল ঘনিষ্ঠ এক ব্যাক্তি এই ঘটনাটি শেয়ার করেন। অভিযোগ টি হল, বিচারপতি অমৃতা সিনহা ও তার আইনজীবী স্বামী প্রতাপ চন্দ্র দে অনৈতিক ভাবে অন্য একটি ফৌজদারী মামলায় হস্তক্ষেপ করেছেন এবং প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। যা নিয়ে মামলাকারী বিচারপতি অমৃতা সিনহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ এই অভিযোগের বিরুদ্ধে রাজ্য সি আই ডি কে নির্দেশ দিয়েছেন কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে তদন্ত চালিয়ে যেতে এবং কোন হস্তক্ষেপ ছিল কিনা তা আদালত কে জানাতে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কে ডিসেম্বরে শুনানির পরবর্তী তারিখে সিলকরা কভারে তদন্তের একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তাদের অবস্থানের অপব্যবহার করেছেন এবং তাদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে আবেদনকারীদের দায়ের করা দুটি ফৌজদারি মামলার তদন্তকে ব্যর্থ করতে হস্তক্ষেপ করেছেন।
— Partha Kundu @aitcPartha (@ParthaDist) November 7, 2023
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং এসভিএন ভাট্টির একটি বেঞ্চ আজ রাজ্য (সিআইডি)
কে নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে তদন্ত
যদিও সামাজিক মাধ্যমে এই অভিযোগ শেয়ার হবার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহা বা তার স্বামী আইনজীবী প্রতাপ চন্দ্র দে-র কোন প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।।