পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ গতকাল ছিল ২৫ শে বৈশাখ রবিঠাকুরের ১৬২ তম জন্মদিন। এই দিনটা প্রতি বছর নিজেদের মত করে ভালোবেসে উৎযাপন করে বাঙালিরা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় খুব বড় করে পালিত হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী। বাংলাদেশের ঢাকায় রমনায় খুব বড় করে পালিত হয় এই উৎসব। ভারতে পশ্চিমবঙ্গের শান্তি নিকেতন, রবীন্দ্র সদন, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে খুব বড় করে পালিত হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী। জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি রবিঠাকুরের জন্মস্থান। সেখানে প্রতিবছরের মত এই বছরও মহা ধুমধামে পালিত হয়েছে দিনটি। লক্ষ্য লক্ষ্য রবীন্দ্রপ্রেমী অনেক সংবাদ মাধ্যমের সাথে উপস্থিত ছিল দ্য ইন্ডিয়ান ক্রনিকালস টিম।
প্রতি বছর এই দিনে সারাদিন ধরে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কবির লেখা গান কবিতা গল্প নিয়েই কাটে সারাদিন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অগণিত মানুষ এই উৎসবে সামিল হতে আসেন। বিভিন্ন বিখ্যাত শিল্পীরা মঞ্চে উঠে গান গায়, আবৃত্তি করে। বেশির ভাগ মানুষ এই দিন সাদা পোশাক পড়ে এখানে আসেন। ভোঁর ৪ টে থেকে শুরু হয়ে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান।
এই বছর জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে উপস্থিত ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখরা। অমিত শাহ রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। জোড়াসাঁকোয় কবি জীবনের বেশির ভাগ সময়টা কাটিয়েছেন। ঠাকুর বাড়ীর প্রতিটি কোণায় কোণায় লেগে আছে কবির স্মৃতি। বাড়িটি বর্তমানে একটি সংগ্রহশালা হিসেবে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত। এদিন অমিত শাহ পুরো মিউজিয়ামটি ঘুরে দেখেন। অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় এখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষের হাতে জলের বোতল তুলে দেন।
এই বিশাল বিশাল উৎসব ছাড়াও রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হয় প্রতিটি স্কুলে পাড়ায় বা কচিকাচাদের হাত ধরে। সেই রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের মধ্যেও রয়েছে এক গভীর ভালোবাসা শ্রদ্ধা এবং একতা। রবীন্দ্র জয়ন্তী যেকোনো জায়গায় পালিত হোক না কেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম এবং মৃত্যুর মুহূর্তের এই বাড়ির উৎসবের যেন এক আলাদা মাত্রা আছে। সেখানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করেন অনেক মানুষ।