পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ বাংলার বইপাড়া সাহিত্য প্রেমী বাঙালির কাছে তীর্থস্থান স্বরূপ। কলেজ স্ট্রিট ভারত তথা এশিয়ার বৃহত্তম বই বাজার এবং পৃথিবীর বৃহত্তম পুরনো বইয়ের বাজার। হ্যাঁ ঝা চকচকে নতুন বইয়ের পাশাপাশি পুরনো বইয়ের বিপুল সম্ভার রয়েছে এই বই পাড়ায়। মন দিয়ে খুঁজে দেখলে দুষ্প্রাপ্য বইয়েরও খোঁজ মিলে যেতে পারে। শিশু, কিশোর যুবক হয়ে প্রৌঢ় এবং বৃদ্ধ যেকোনো বয়সী মানুষই নিজেদের ভালোলাগা খুঁজে পেতে সক্ষম এই কলেজ স্ট্রিটে। প্রায় কয়েক হাজার বইয়ের দোকান রয়েছে এখানে। এমনকি সমস্ত বড় বড় প্রকাশনীর আউটলেটও রয়েছে এখানে।
কলেজ স্ট্রিটের এত দোকানের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো দোকান কোনটা কেউ জানে কিনা জানা নেই। ৫৪/এ৩ কলেজ স্ট্রিট দাসগুপ্ত অ্যান্ড কোং কলেজ স্ট্রিটের সবথেকে প্রাচীন দোকান। ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই দোকানটি। ‘হেরিটেজ কমিশন’ কয়েক বছর আগে এই দোকানটিকে ‘ঐতিহ্যবাহী’ দোকানের তকমা দিয়েছে। প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো এই দোকান এখন সেজে উঠছে নতুন করে।
তিনতলা এই দোকানের একটি অংশে শুরু হতে চলেছে গ্রন্থাগার। শিক্ষার্থীরা সেখানে এসে বসে পড়াশোনা করতে পারবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তার জন্য কোনও রকম চার্জ দিতেও হবে না। দোকানটির বর্তমান পরিচালক অরবিন্দ দাসগুপ্তর উদ্যোগে তৈরি হতে চলেছে এই পরিকল্পনা। কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
চলতি বছরে পুজোর আগেই পাঠকদের জন্য দ্বারউন্মুক্ত হয়ে যাবে এই গ্রন্থাগারের এমনটাই আশা করা যাচ্ছে। প্রায় ১০ হাজার বই থেকবে এই লাইব্রেরীতে। সোম থেকে শনিবার সারাদিন খোলা থাকবে এই গ্রন্থাগার। অরিন্দম দাসগুপ্তর বক্তব্য দুঃস্থ ও গ্রামের ছেলেমেয়েরা যারা বই কিনতে পারে না আর্থিক কারণে তাদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। এই উদ্যোগ যে ফলপ্রসূ হবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।