অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে ফিরলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বলিউড নায়ক সালমান খান ।
কিছু দিন আগেই পাঞ্জাবে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করা হয় কংগ্রেস দলের যুব নেতা ও পাঞ্জাবী জনপ্রিয় গায়ক সীধু মুসেওয়ালা। যেভাবে এই খুন করা হয়েছে তা দেখে ইতিমধ্যেই দেশের পুলিশ ও প্রশাসনের ঘুম উড়ে গেছে । মুসেওয়ালা তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এই খুনের জন্য উত্তর প্রদেশের অন্যতম ডন লরেন্স বিষনোই জড়িত । লরেন্স তিহার জেলে বসেই অপরাধ সংগঠিত করে। প্রায় গোটা ভারত বর্ষ জুড়ে লরেন্সের গ্যাং মেম্বাররা থাকেন। আছে ৭০০জন শার্প শুটার এবং এমন সব আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এরা ব্যাবহার করছেন যা দেশের পুলিশ প্রশাসন তো দূর ভারতীয় সেনা বাহিনীর কাছেও নেই ।
মুসেওয়ালা খুনের ঘতনাস্থল থেকে যে গুলির খোল পাওয়া যায় তা ফরেন্সিক তদন্তে যেতেই চোখ মাথায় ওঠে সকলের । যে রাইফেল থেকে গুলি করা হয়েছিল তা ছিল AN-94 যা এক কথায় AK -47 থেকেও প্রায় ১০ গুন বেশি প্রাণঘাতী।
AN-94 রাইফেল টি সাধারণত রাশিয়ার সেনা বাহিনী ব্যাবহার করে থাকে। ভারতে এই অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল অন্ধকার জগতের মানুষের হাতে এসেগেল কি করে সেই নিয়ে শুরু হয়েছে প্রশাসনের এক নতুন চিন্তা। এই রাইফেলের গুলির গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৯০০ মিটার , এ ছাড়া এই রাইফেল অটোমেটিক মোডে একবার ও না থেমে ১৮০০* ২০০০ গুলি ছুঁড়তে সক্ষম। এই খুনের তদন্ত শুরু হতে না হতেই মুম্বাইতে বিশিষ্ট চিত্র- পরিচালক / কাহিনীকার ও বিখ্যাত অভিনেতা সালমান খানের পিতা সেলিম খান কে প্রাত ভ্রমনের সাময় এক অজ্ঞ্যাত পরিচয় ব্যাক্তি মারফত , সেলিম খান ও সালমান খান দুজনকেই হত্যার হুমকি চিঠি দেওয়া হয় এবং তার পরেই মুম্বাই পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা তৎপর হয়ে ওঠে । মুহূর্তের মধ্যে সালমান খানের ব্যাক্তিগত প্রতি রক্ষা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এছারাও সালমান খানের বাড়ি কেও ঘিরে ফেলে মুম্বাই পুলিশ । এর আগেও সালমান খান কে এই লরেন্সই খুনের হুমকি দিয়েছিল কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার কারনে।
অন্যদিকে মুসেওয়ালা খুনের তদন্তে শুরু হয় গ্রেফতারী এবং সেখান থেকেই জানা যায়, যে লরেন্সের খুনের তালিকায় প্রথম নাম ছিল সালমান খানের। সালমান নিজে সাইকেলিং করতে ভালোবাসেন এবং সেই মুহূর্তে তিনি একেবারেই নিরাপত্তাহীন অবস্থায় মুম্বাইয়ের পথে সাইকেল চালান, এমনকি তার ব্যাক্তিগত সুরক্ষা কর্মীরাও তখন থাকেন না । লরেন্সের শার্প শুটার এই সময় টিকেই বেছে নিয়েছিল এবং একটি হকিস্তিক ও একটি ৭ এম এম পিস্তল নিয়ে একেবারে ভাইজানের কাছে পৌঁছে গেছিল আততায়ী কিন্তু কাকতালীয় ভাবে সেখানে পুলিশের গাড়ী চলে আসায় সেদিন আততায়ী গুলি চালানো থেকে বিরত থাকে। ভাইজান কে হত্যার ছক বানচাল হতেই পরবর্তী টার্গেট মুসেওয়ালা কে নিশানা করে লরেন্সের বাহিনী । মুসেওয়ালা কে হত্যার সঠিক কারন কি তা এখনো অজানা কিন্তু ভাইজান কে হত্যার করার পরিকল্পনা কেন সে বিষয়ে লরেন্স অনেক আগেই পুলিশের তদন্তকারী দল ও সাংবাদিক দের কে জানিয়েছে। বেশ কিছু বছর আগে একটি ফিল্ম শুটিঙের সময় সালমান খান একটি কৃষ্ণসার হরিণের শিকার করেন, উত্তর প্রদেশে বিষনোই সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লাগায় তারা সালমান খানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলা বহুদিন চলার পর সালমান সেই মামলা থেকে মুক্তিপান কিন্তু লরেন্স বিষনোই , তার সমাজের কাছে মাথা উঁচু করার জন্য সালমান খান কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
তবে বর্তমানে এই সব ঘটনা দেখে বলাই যায় – দাউদ এখন পুরনো খবর, ভারতের অন্ধকার জগত এখন দাউদের থেকেও ভয়ঙ্কর মাফিয়ারা জেলে বসেই পরিচালনা করছে।