শোভন মল্লিক ,কলকাতা: গত শুক্রবার এক ভয়ানক দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল সারা ভারতবর্ষ। শুক্রবার সন্ধ্যায় যেন হঠাৎই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বার মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা চাক্ষুস করল সেই ট্রেনের বেঁচে ফিরে আসা যাত্রীরা। মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখা কাকে বলে, হয়তো সেই বেঁচে ফিরে আসা যাত্রী রাই একমাত্র বলতে পারবেন। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৩০০ ছুঁই ছুঁই। এক কথায় এই দুর্ঘটনা একদিকে যেমন মর্মান্তিক অন্যদিকে ততটাই রহস্যজনক ।
দুর্ঘটনা কখনোই দিনক্ষণ দেখে হয় না। দুর্ঘটনা যখন ঘটার তখন ঘটবেই। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে কিছু কিছু জিনিসের হিসেব সত্যিই কোনদিন মেলে না। আমাদের পৃথিবীতে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা অনুত্তর । যেমন এই ঘটনা মিলে যাচ্ছে ১৪ বছর আগের একটি রেল দুর্ঘটনার সঙ্গে। ঘটনা দুটির মধ্যে ১৪ বছরের ফারাক হলেও। যেন কাকতালীয় ভাবে মিলে যাচ্ছে অনেক কিছুই। আজ থেকে ১৪ বছর আগে সেই দিনটায় ফিরে গেলে দেখা যাবে। ২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যেতেই করমন্ডল এক্সপ্রেসই হয়েছিল এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সম্মুখীন।
সেবারেও গন্তব্যস্থল ছিল চেন্নাই। চেন্নাই যাবার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটির প্রায় ১৬ টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের। শুধু যে দিন বা সময় মিলেছে এমনটা একদমই নয়, মিলে গিয়েছে ঘটনাস্থলও। ওড়িশার জয়পুরে আজ থেকে ১৪ বছর আগে করমন্ডলের হয়েছিল এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা।
সেই বারেও একটা বগির উপর আরেকটি বগি উঠে সৃষ্টি হয়েছিল এক ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির। সত্যিই সেই স্মৃতি যেন বারবার উসকে দিচ্ছে আজকের দুর্ঘটনার স্মৃতিকে। এমনটাও সম্ভব ?এতটাও কাকতালীয় হতে পারে সব কিছু? সত্যি সবটাই যেন ঝাপসা। আবার দুর্ঘটনায় সম্মুখীন হয়েছে করমন্ডল। ১৪ বছর আগের সেই দুর্ঘটনা থেকে আরও দশ গুণ বেশি ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনটি ট্রেনের বগি তাসের ঘরের মতো শেষ। আর সঙ্গে শেষ হয়েছে বহু মায়ের সন্তানেরা।
তবে এটা কি এটা শুধু সাধারণ দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনো রহস্য? আমাদের পৃথিবী বিশাল তাই রহস্যের জাল বিস্তৃত সারা পৃথিবী জুড়ে। আমাদের সঙ্গে এমন বিভিন্ন ঘটনা ঘটে যার প্রকৃত উত্তর বিজ্ঞান দিতেও অপারক। আবারো এমন একটি অযৌক্তিক, রহস্যময়, অবৈজ্ঞানিক , মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইলাম আমরা ।