এবার টালিগঞ্জের “গডমাদার”, ঋতুপর্না সেনগুপ্ত চরম ট্রোলের স্বীকার হলেন। সদ্যমুক্তি পেল আমাদের কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত “কবি” তথা প্রযোজক পবন কানোড়িয়ার “মহিষাসুর মর্দ্দিনী “। গতকাল প্রিয়া সিনেমা একটু অনাড়াম্বড় জৌলুশহীন ভাবেই হলে হয়েগেল তার প্রিমিয়ার। উপস্থিত ছিলেন, ঋতুপর্না সেনগুপ্ত, স্বাস্বত চট্টোপাধ্যায়, সাহেব ভট্টাচার্য্য , জয় বদলানি, সহ অন্য কলাকুশলী সহ বারাসাতের বিধায়ক, বিখ্যাত অভিনেতা চিরঞ্জীত চক্রবর্তী ও বাঙলা চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্না সেন।
বর্তমানে এই প্রযোজকের বেশির ভাগ ছবিই আর্ট ফিল্ম বা ফেস্টিভ্যাল ঘেঁষা। যদিও এক সময় তিনি একের পর এক কমার্শিয়াল চলচ্চিত্র বাংলাকে উপহার দিয়েছেন। তবে এবার সমস্যা হল “মহিষাসুর মর্দ্দিনী”র একটি প্রচার কে নিয়ে।
এক মুহুর্তের সব থেকে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম গুলির মধ্যে ফেসবুক সব থেকে বেশী জনপ্রিয় ফলত সেখানেই বহু চলচ্চিত্রের প্রচারাভিযান চলে। আর সেখানেই আসে এই “মহিষাসুর মর্দ্দিনী”র একটি পোষ্টার যেখানে রয়েছে বাংলা চলচ্চিত্রের “গডমাদার” ও আইকনিক নায়িকা ঋতুপর্না সেনগুপ্তের ছবি, পাশে লেখা -” আসলে গোড়াতেই গলদ ছিল। সব সময় আগে এসেছে পুরুষ তার পর নারী। Tiger থেকে Tigress, Actor থেকে Actress. আর এই পোষ্টার টি নিজের ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করেন স্বয়ং Tigress থুড়ি “গডমাদার” Actress ঋতুপর্না সেনগুপ্ত নিজে।
কিন্তু তিনি বোধহয় অবগত ছিলেন না, যে এই মুহুর্তে নারীবাদী আন্দোলনের থেকেও বিশালাকার আকার ধারন করেছে নিপীড়িত পুরুষ সমাজ। পুরুষাধিকার আন্দোলন ক্রমেই দেশের আইন ও সমাজ ব্যবস্থা কে বার বার বুঝিয়ে দিচ্ছে আজ দেশে লিঙ্গনিরপেক্ষ আইন কতটা প্রয়োজন। দিনের পর দিন খবরের শিরোনামে থাকছে নারীঘটিত অপরাধের সংবাদ। যা নিয়ে বাংলা ও দেশের পুরুষ সমাজ বেশ ক্ষিপ্ত বলাই যায় কারন এই মুহুর্তে দেশের আইন সম্পূর্ন ভাবে নারীবাদ কেন্দ্রীক হয়ে আছে যার প্রশয়ে বহু নারী, বহু নিরপরাধ পুরুষের জীবন ধংস করে চলেছেন।
পোষ্টারটি শেয়ার করার সাথে সাথে তার অনুগামী দের মধ্যে থাকা পুরুষরা তাকে ট্রোল করতে শুরু করেন। যদিও কোনটির উত্তরই অভিনেত্রী দেননি। তবে তিনি যে এবার ভয়ঙ্কর ভাবে ট্রোল হলেন তা অনস্বীকার্য। যদিও নেতিবাচক প্রচার সব থেকে উন্নত মানের প্রচার বলেই বিনোদন জগতের অনেক কলাকুশলী বিস্বাস করে থাকেন।
এর আগেও ঋতুপর্না সেনগুপ্তকে সংবাদ শিরোনামে আসতে দেখা গিয়েছিল একটি ভূয়ো অর্থলগ্নী বা চিটফান্ড কোম্পানির সাথে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে। যদিও কোন এক যাদুবলে তিনি কলঙ্কমুক্তই রয়েগেছেন।