ফিয়ার ফ্যাক্টর – নামটা শুনলেই কেমন জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠানের কথা মাথায় আসে, কিন্তু এই নামে যদি একটা বই হয়, তাও আবার যদি সেই বইতে থাকে দশ দশটা ভয়ের গল্প! লেখনী প্রকাশনার হাত ধরে দশ আতঙ্কের বই “ফিয়ার ফ্যাক্টর” খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে। এই বইটির সম্পাদনার দায়িত্ব নিয়েছেন জনপ্রিয় লেখিকা বৈশালী দাশগুপ্ত । তাঁর কথায় “প্রায় একশ’ গল্পের মধ্য থেকে ন’টাকে বেছে নেওয়া নিঃসন্দেহে কঠিন কাজ।” তবে সেই শক্ত কাজ করে দেখিয়েছেন সম্পাদিকা।
করোনা কালের পর, বাঙালির সাহিত্যচর্চা এখন ঠিক কেমন? এখন কার বাঙালি কি বই পড়েন? এই 5G ইন্টারনেট জগতে বই কেনেন কেউ?
আমরা কথা বললাম সম্পাদিকা বৈশালী দাশগুপ্ত সাথে, যার লেখা রহস্য গল্প আমরা ইতিমধ্যেই রেডিও মির্চির সানডে সাসপেন্স এ শুনেছি।

বৈশালী দি জানালেন, এটি তার প্রথম সম্পাদনা এবং লেখনী প্রকাশনীর এই উদ্যোগ সত্যিই কুর্নিশ যোগ্য কারন নতুন লেখক লেখিকাদের জন্য এটা একটা দারুন প্লাটফর্ম তারা দিয়েছেন।
করোনা কালের আগের সময়ে বাঙালির সাহিত্যচর্চার অবস্থা ছিল বেশ করুন। তবে করোনাকালে গৃহবন্দী দশা বাঙালি পাঠক পাঠিকাদের আবার সাহিত্যচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলেছে। তবে এটা তো মানতেই হবে, যুগ বদলেছে, বদলেছে পাঠক পাঠিকার পছন্দ অপছন্দ। সেক্ষেত্রে নতুন পাঠক পাঠিকারা বর্তমান ই-কমার্শের বদান্যতায় বিদেশী লেখক লেখিকার গল্পের বই পড়তে বেশি পছন্দ করছেন। বাংলা গল্পের ক্ষেত্রে বেশি পছন্দ প্রেম আর রহস্য রোমাঞ্চ। বর্তমানে সেরকমই দাবি থাকে বাংলার পাঠক পাঠিকা দের। তবে ফিয়ার ফ্যাক্টরে শুধুমাত্র ভৌতিক গল্প নেই আছে অন্য স্বাদের ভয়ের গল্পের ঠিকানা। তাই যারা ভয় পেতে ভালোবাসেন তাদের কথা মাথায় রেখেই এই গল্পের সঙ্কলন যা বর্তমান পাঠক পাঠিকাদের মন জয় করবেই।
এই বইতে কলম ধরেছেন বর্তমানের নয় কলমচি প্রিয়া চক্রবর্তী, রিয়া ভট্টাচার্য, ঐষিক মজুমদার, দেবযানী বিশ্বাস, পথিক মিত্র, পুষ্পার্ঘ্য দাস, অনন্যা দাস মন্ডল, অভিষেক চৌধুরী ও রোহণ মাভৈ। এছাড়াও স্বয়ং সম্পাদিকার অর্থাৎ বৈশালী দাশগুপ্তের লেখা সোনালি কলম রহস্য নামে এক্তি থ্রিলার গল্প , ফিয়ার ফ্যাক্টর এর আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলেছে ।
লেখনী প্রকাশনার কর্ণধারের কথায়, “পাঠক ভয় পেতে ভালোবাসে, দেখা যাক, এই আতঙ্কের মধ্যেই হয়তো বইটির সাফল্য লুকিয়ে আছে।” ফিয়ার ফ্যাক্টরের মুদ্রিত মূল্য ৩৫০ টাকা। এই বইটি কলেজ স্ট্রীটের বিভিন্ন বিপনি ছাড়াও প্রকাশকের দপ্তর থেকে পাওয়া যাবে সাড়া দেশে।