মোমো নামের সাথে এখন বাঙালি ভীষণ রকম ভাবে পারিচিত । ভ্রমণ পিপাশু বাঙালিকে লোভনীয় মোমো খেতে আর দার্জিলিং যেতে হয়না । বিগত কিছু বছরের মধ্যেই কলকাতার অলি গলি থেকে রাজপথে ছেয়ে গেছে এই মোমো ব্যবসা। কিন্তু ছোট থেকে বড় সকলের প্রিয় এই মোমো যে আগামীতে কি ভয়ঙ্কর রোগের দিকে আমাদের ঠেলে দিতে চলছে সে বিষয়ে আমরা সম্পূর্ন অন্ধকারে রয়েছি ।
কলকাতার ও পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলিতে এমন কোন জায়গা খুঁজে পাওয়া মুশকিল যেখানে মোমো বিক্রি হয়না। স্বল্প টাকায় পেট ভরানোর জন্য ও পুষ্টিকর খাবার হিসাবে মোমো কেই বেছে নেন আবাল বৃদ্ধ বনিতা। চিকেন মোমো দিয়ে পথ চলা শুরু হলেও এখন বাজারে ভেজিটেবিল মোমো , মোটন মোমো , প্রণ বা চিংড়ি মোমো , ফিস বা ভেটকি মোমো , চকোলেট মোমো , গন্ধরাজ মোমো মিলিয়ে প্রায় বহু রকমের মোমো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ।।
সাধারণ মোমোর পাশাপাশি খুলেগেছে বেশ কয়েকটি মোমো স্পেশাল চেন রেস্টুরেন্ট ও । কিন্তু আপনি কি জানেন এই মোমো আপনাকে এগিয়ে দিচ্ছে ক্যানসারের দিকে ? আপনার শিশু কে এগিয়ে দিচ্ছে অবেসিটি ও হাঁপানির মতো রোগের দিকে ?
হ্যা ঠিকই পড়েছেন । অলি গলি থেকে শহরের নামি দামি রেস্তোরা তে যে মোমো বিক্রি হচ্ছে তার বেশীর ভাগ টাই হাতে তৈরী নয় । অন্য একটি ফ্যাক্টরি তে মেশিনে তৈরী করে সেই সব মোমো তে রাসায়নিক ব্যবহার করে সেই সব মোমোর আয়ু প্রায় মাস দেড়েক বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং পাইকারী হারে ফুটপাথের দোকান থেকে নামী দামী রেস্তোরা তেও পাঠিয়ে দেওয়া হয় । আমি আপনি সাধারণ মানুষ সেসব না জেনে টাটকা মোমো ভেবে পচা মোমো গুলি কে তাজা মোমো ভেবে খেয়ে চলেছি ।।
শহরে ভাগাড় কান্ডের পরেও এই ভাবেই পচা মাংসের বা সবজির মোমো জনসাধারণ কে খাইয়ে আগামীতে অসুস্থ করে তোলার যে ব্যবস্থা চলছে সে নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম গুলির বা সরকারি স্বাস্থ্য ও খাদ্য দপ্তরের ।
আমরা এ নিয়ে কথা বলেছিলাম বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা সৌরভ বাগের সাথে । এই “মোমো” যে কি ভাবে জনগণ কে ক্রমশ নানা বিধ সাংঘাতিক রোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সে নিয়ে কি জানালেন ডা সৌরভ বাগ শুনুন তার কথা নিচে দেওয়া ইউটিউব লিংকে গিয়ে ।।