স্বর্ণালী পাত্র, কলকাতা: গত কয়েক বছর ধরে এই মে মাসেই তৈরি হয়েছে নানান ঘূর্ণিঝড়। ২০২০ সালে বিধ্বংসী “আমফান” লণ্ডভণ্ড করেছিল পশ্চিমবঙ্গ, ভয়ানক প্রভাব পড়েছিল কলকাতাতেও। তারপর ২০২১ এ আসে ঘূর্ণিঝড় “যশ”। ২০২২ – এর মে মাসে তৈরি হয় “অশনি”। এইবার মে মাসেই তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় “মোচা”। তাই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী,শনিবার ৬ মে দক্ষিণ – পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণবাত। আজ অর্থাৎ রবিবার ৭ মে ঘূর্ণবাতটি পরিণত হবে নিম্নচাপে এবং সোমবার তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর অভিমুখে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে। মঙ্গলবার ৯ মে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এখনই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ স্পষ্ট ভাবে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। নিম্নচাপ এ পরিণত হলে গতিপথ সুস্পষ্ট হবে বলেন তারা। তবে ভারতের মৌসুম ভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু বা অন্ধপ্রদেশ এই রাজ্য গুলির মধ্যে কোন একটি দিকে ধেয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় মোচা। তাই ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে চালু করা হয়েছে কন্ট্রোলরুম, সেখান থেকেই নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
এর প্রভাবে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে রবিবার ও সোমবার তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে এই দুই দ্বীপপুঞ্জে। হাওয়ার গতিবেগ ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা থাকতে পারে যা সোমবার বেড়ে ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। তাই সতর্ক করা হয়েছে পর্যটক মৎস্যজীবীদের। আগামী সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে এবং যারা সমুদ্রে আছেন তাদের রবিবার বিকেলের মধ্যেই উপকূলে ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এখনই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট না হলেও, তৎপর হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। দুর্যোগ সামলাতে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশাতেও শুরু হয়েছে সতর্কতামূলক প্রস্তুতি।