অনেক নারীই আছেন এমন যারা স্বামীর সঙ্গে কিছু ভুলের কারণে অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হন।গবেষকরা অনেক গবেষণা করে বিবাহিত নারীদের পরকীয়ায় জড়ানোর পাঁচটি কারণ খুঁজে বের করেছেন। আসুন তাহলে জেনেনিন কি সেই কারণগুলি যার জন্য নারীরা তাদের স্বামী থাকা সত্ত্বেও পরকীয়ায় জড়ায়-
স্ত্রী এর সাথে অন্য নারীর তুলনা করা
অনেক পুরুষ আছেন যারা নিজের বউকে অন্যদের বউয়ের সাথে তুলনা করে। তাই অনেক ক্ষেত্রে সে সব নারীরা কষ্ট পেয়ে থাকেন। তাই অন্য কোনো পুরুষের মুখে নিজের প্রশংসা শুনলে তারা অকৃষ্ঠ হয়ে থাকে।
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দৃষ্টি আকর্ষণের অভাব
প্রত্যেক স্ত্রী-ই চায় স্বামীর মনোযোগ পেতে। ছোটখাটো হাসি মজা করতে। তবে নানারকম কারণে বা স্বামীর ব্যস্ততা তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে দিন দিন স্ত্রীর মন ভাঙতে থাকে। সঙ্গ পাওয়ার জন্যই একসময় তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে যান।
সারাদিন স্ত্রীর দোষ ধরা
অনেক স্বামী আছেন যারা স্ত্রীর ছোট ছোট কাজেও ভুল ধরতে থাকে। স্ত্রীর কোনো কাজই তার মন মতো হয় না। যদিও স্বামীর মন জয়ের ক্ষেত্রে স্ত্রীর চেষ্টার কোনো কমতি থাকে না। তারপরও সে ব্যর্থ হয়। এক্ষেত্রে অন্য পুরুষের কাছে নিজের প্রশংসা শোনা তাকে আকৃষ্ট করে। তখন ধীরে ধীরে সে তার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
স্ত্রীকে সময় না দেওয়া
আমাদের সমাজে এমন অনেক পুরুষ আছেন যারা মনে করেন বিয়ের পর স্ত্রীর কাজ শুধু বংশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাদের ঘর সামলানো ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। তাই তারা তাদের স্ত্রীদেরও সময় দেন না। নিজের মতো করে সময় কাটান। স্ত্রীদের ভালো লাগা মন্দ লাগা নিয়ে চিন্তাও করেন না। তাদের এ ধরনের ব্যবহারের কারণে একসময় স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
প্রয়োজনের চাইতে বেশি কৃপণতা
অনেক পুরুষ আছে যারা সঞ্চয়ের নামে অতিরিক্ত কৃপণতা করেন। এমনকি খুব দরকারি জিনিসগুলোও স্ত্রীদের এনে দিতে কার্পণ্য করেন। এই ধরনের স্বামীদের প্রতি তিক্ত হয়ে স্ত্রীরা পরকীয়া করেন।
স্ত্রীর মতামতে গুরুত্ব না দেওয়া
এমন অনেক পুরুষ আছে যারা নিজের ভুল ঠিক বিচার করেন।স্ত্রী কি বলছে সেটাই গুরুত্ব দেননা।যার জন্য স্ত্রীরা কষ্ট পেয়ে একসময় অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
কি ভাবে বুঝবেন:-
সঙ্গী যদি হঠাৎ নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে অতিরিক্ত সচেতন হয়ে উঠেনঃ-
আপনার স্বামী/স্ত্রী যদি হঠাৎ নিজের ত্বক, সাজগোজ, শারীরিক গঠন কিংবা পরিহিত পোশাক আশাকের দিকে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে শুরু করেন, তাহলে আপনি একে পরকীয়ার একটি লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। এখানে একটি বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া দরকার যে সঙ্গী আপনার জন্যই নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করছেন কিনা। কারন অনেক স্বামী/স্ত্রীই আছেন যারা দাম্পত্য জীবনে পুনরায় রোমান্স ফিরিয়ে আনতে এই পন্থা বেছে নেন। কিন্তু আপনি এই দ্বিধাবোধের অবসান করতে পারেন নিজেকে ২/৩ টি প্রশ্ন করে। আর তা হল, আপানার স্বামী/স্ত্রী কি আপনার পছন্দ অনুযায়ী নিজেকে উপস্থাপন করছেন? তিনি কি শুধুমাত্র আপনাকে দেখানর জন্যই বিশেষ পোশাক ও সাজগোজ করেন? আমাকে কেমন দেখাচ্ছে এই ধরনের প্রশ্ন আপনাকে করা হচ্ছে কিনা সেটাও লক্ষ্য করুন। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি “না” হয়, তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন আপনার সঙ্গী পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িত আছেন।
আপনার সাথে যৌনসম্পর্কে উদাসীনতাঃ-
সঙ্গী যদি আপনার সাথে যৌনসম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন তাহলে আপনি এটি পরকীয়ার নিশ্চিত লক্ষন হিসেবে ধরতে পারেন। যিনি অন্যের সাথে সময় কাটিয়ে আপনার প্রতি উদাসীন, তার মুখের অভিব্যক্তিই আপনাকে সব কথা বলে দেবে। আপনার সাথে সম্পর্ক স্থাপনে সঙ্গী আগ্রহী নন, অর্থাৎ তার চাহিদাটি পূরণ হচ্ছে অন্য কারো মাধ্যমে। এছাড়াও অভ্যাসবশত যৌন সম্পর্ক করছেন কিনা স্রেফ আপনাকে খুশি করতে, সেটিও লক্ষ্য করুন। যৌনসম্পর্কে উদাসীনতা স্পষ্ট ইঙ্গিত করে পরকীয়ার দিকে।
কারণে/অকারণে রেগে যাওযাঃ-
সঙ্গীর আরও একটি বিষয় আছে যা বিশেষ ভাবে লক্ষণীয়। তা হল আপনার সঙ্গীর কথায় রাগের সুর। খেয়াল করে দেখুন তো, আগে যে বিষয়গুলো আপনার সঙ্গীর রাগের উদ্রেক করতো না সেসব বিষয়ে কি তিনি রেগে যাচ্ছেন? কিংবা কথায় কথায় আপনাদের দাম্পত্য জীবনকে অভিশাপ হিসেবে অভিহিত করছেণ? তার এসব কথার কোন যুক্তি আছে কিনা এইসব ব্যাপারগুলো লক্ষ্য করুন। বিনা কারণে অযৌক্তিক রাগ করা, কিংবা সবসময় খিটখিট করা পরকীয়ার অন্যতম লক্ষণ।
আপনার প্রতিদিনের রুটিন খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করাঃ-
ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন আপনার স্বামী/ স্ত্রী আপনার প্রতিদিনকার রুটিন সম্পর্কে হঠাৎ অতিরিক্ত নজর দিচ্ছেন কিনা অর্থাৎ আপনি কটায় বাড়ি ফিরবেন বা কোন কোন জায়গায় কখন যাবেন এই ধরনের প্রশ্ন করছেন কিনা। তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আপনার চোখ এড়িয়ে নিরাপদে সম্পর্ক চালিয়ে যেতেই তার এত জিজ্ঞাসা। সচেতন হন এই সকল বিষয়ে।