এখনকার দিনে সংসারে নানারকম অশান্তি থাকার জন্য পরকিয়ায় লিপ্ত হচ্ছেন নারী পুরুষ নির্বিশেষে। আমাদের সমাজে পরকিয়া বলতে বোঝায় বিবাহিত কোনো স্বামী বা স্ত্রী এর ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত প্রেম, ভালোবাসা ও যৌন সম্পর্ক তৈরি করা।
ধর্মীয় ও সামাজিক দিক থেকে পরকীয়াকে খুবই নিন্দনীয় চোখে দেখা হয়। স্বামী স্ত্রী-র মধ্যে ঝগড়া বিবাদের বা মনোমালিন্যর ফলে তাদের জীবনে ঢুকে পড়ছেন কোনো এক তৃতীয় ব্যক্তি। স্পেনের “করুনা বিশ্ববিদ্যালয়”-এ এটির গবেষণা করে দেখা যায় কারা বেশি পরকীয়া করে থাকেন এবং কেনইবা করেন। এই গবেষণায় ৩০৮ জন মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন, যাদের গড় বয়স ১৮-২৫ বছর। অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৭৮.৩ শতাংশ নারী আর পুরুষ ২১.২ শতাংশ।
বিবাহিত জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক পরিস্থিতি হলো যখন সঙ্গী তার সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় বেছে নেন। প্রায় এক হাজার মানুষের উপর গবেষণা চালানো হয়। সেই গবেষণা থেকে যে তথ্য উঠে এসেছে তা ‘জার্নাল অফ সেক্সুয়ালিটি’-তে প্রকাশ পেয়েছে। গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, এর পিছনে রয়েছে স্বামী বা স্ত্রীকে প্রতারণা করার আনন্দ।
‘নারসিসিজম’ রয়েছে এমন মানুষের মধ্যে বারবার পরকীয়া করার প্রবণতা বেশি, গবেষণার দ্বারা এটি প্রমাণিত হয়েছে। মনোবিজ্ঞানে নারসিসিজমকে সাধারণত আত্মরতি, নিজেকে মহান ভাবা, অহংকার এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতির অভাব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে কোনো ন্যায়নীতিবোধ থাকে না। দুর্ভাগ্যবশত পুরুষের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। মনোবিজ্ঞান বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। তাই এ ধরনের গবেষণার কাজও খুবই কষ্টসাধ্য। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন বলে মনে করেন গবেষকরা। তাই জীবনের প্রতিটি বিশেষ পদক্ষেপে সমীক্ষার ওপর গুরুত্ব না দিয়ে নিজের বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়াটাই বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে।