বাঙালি মানেই তো প্রেম, আবেগ ভালোবাসা কবিতা আর অনেক অনেক বই। বলা যেতেই পারে যে ভারতের সাহিত্য জগতের অনেকটাই বাংলা সাহিত্যচর্চার অবদান। তাই বইমেলা টাও বাঙালির কাছে শারদ উৎসবের মতো একটা বড় আবেগ জড়িত উৎসব বলাই ভালো।
প্রতিবারের মতো বইপোকা বাঙালির এ কদিন সব ছেড়ে কবিতা আড্ডা গানে গল্পে জমে উঠবে এবারের ৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। যতই আসুক OTT, E- Book – বইমেলা থেকে বাঙালি কে আটকে রাখা, “পাঠান” এর কাছেও নামুমকিন। আজ সেই “বইমেলা” -র আনুষ্ঠানিক সুচনা করলেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মেতে উঠলেন বাংলার বাউল সুরে বাউলানি হয়ে। সুর মেলালেন সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে।
সহস্র কটাক্ষের তির অগ্রাহ্য করে মাননীয়ার এই সহজ ভাবে মিশে যাওয়া টাই বাংলার মানুষের কাছে ভীষন জনপ্রিয়। সে রাজনৈতিক সভাহোক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সব জায়গায় তিনি নিজেকে তুলে ধরেন সাধারণ মানুষ ও শিল্পীদের মাঝেই যা বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে অভূতপূর্ব একটি নজির।
আজ মাননীয়া কলকতা বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেন – এবারের বইমেলা প্রাঙ্গন পেয়েছে নিজ্স্ব ঠিকানা। এবারের বইমেলার পরিধি বেড়েছে অনেকটাই যেখানে লাখ লাখ মানুষের ভীড়ে খুব অসুবিধা সৃষ্টি করে।
বিগত দুবছর করোনা কালের, দ্বিতীয় বছর বই মেলা আয়োজন করা হয় সে বছর প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন বইমেলায়, ব্যাবসা হয়েছিল প্রায় ২৪ কোটি টাকার। এবার করোন মুক্তকালে, করোনামুক্ত মানুষ আরো বেশি আসবেন তার গনতান্ত্রিক অধিকার, ভালোবাসা আর শুভকামনা নিয়ে।
আপনাদের জন্য রইলো ৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা-র আনুষ্ঠানিক সুচনার অসম্পাদিত ভিডিও।